সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে এক মাস আগে এক স্কুলছাত্রীকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে তিন তরুণ। পরে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে প্রতিদিন রাতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে আসছিল ওই তিনজন। গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তারা মেয়েটিকে আবার ধর্ষণের উদ্দেশ্যে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে একজনকে আটক করে। অন্য দুজন পালিয়ে যায়। এই অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
এ ছাড়া খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মাদরাসাটির সুপারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কুমিল্লার মুরাদনগরে তিন শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পাইকগাছা উপজেলার লস্কর-পাইকগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় গত সোমবার ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী ছাত্রীর নানি গতকাল বাদী হয়ে পাইকগাছা থানায় মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার হওয়া মো. হাবিবুর রহমান (৫৫) কয়রা উপজেলার খিরোল গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিম সরদারের ছেলে।মামলা সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সকাল ৬টার দিকে মাদরাসা সুপার হাবিবুর রহমান ভুক্তভোগী ছাত্রীটির বাড়িতে যান। তিনি ছাত্রীটিকে মাদরাসায় অ্যাসাইনমেন্ট আনার কথা বলে চলে আসেন। মেয়েটি ৮টার দিকে মাদরাসায় গেলে হাবিবুর তাকে তাঁর কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে এলে তার নানি এলাকাবাসীর সহায়তায় বিষয়টি থানায় গিয়ে জানান।
পাইকগাছা থানার ওসি এজাজ শফী বলেন, অভিযুক্ত সুপারকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মুরাদনগরে অভিযুক্ত মোশারফ চৌধুরী (৬২) উপজেলার কামাল্লা গ্রামের মৃত খুরশিদ চৌধুরীর ছেলে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মুরাদনগর থানায় মামলা করেছে তিন শিশুর পরিবার। অভিযোগ মতে, মোশারফ চৌধুরী গত ২৭, ২৮ ও ২৯ নভেম্বর তিন শিশুকে প্রলোভন দিয়ে বৈঠকঘরে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন। মুরাদনগর থানার ওসি সাদেকুর রহমান বলেন, অভিযুক্তকে পুলিশ খুঁজছে।
Tags: এক মাস ধর্ষণ, ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে, ভিডিও
Comments are closed here.