সিনিয়র আপু যখন বউ (পর্ব-৩১)

January 18, 2021 | By Admin | Filed in: সিনিয়র আপু যখন বউ.

সিনিয়র আপু যখন বউ (পর্ব-৩০)

যে কারনে এত বছর পর আমার কাছে আসার পরে ও ওকে আপন করে নিতে পারিনি,, আবার না বলে ঐ বাড়িতে গিয়েছে,,, কেন গিয়েছে সাকিবের সাথে কথা বলার জন্য,,,আমি একটা রিকশা নিয়ে ইশিতার বাসায় চলে গেলাম,,রাগ একটু ও কমেনি,,,

বাসার কলিংবেল চাপ দিতেই খালামনি এসে দরজা খুলে দিল,,,তার পর আমাকে ইশিতার সম্পর্কে অনেক কিছু জিজ্ঞাসা করলো,,, আমি কোন কিছুর প্রতি উত্তর না দিয়ে সোজা ঈশিতার রুমের কাছে চলে গেলাম,,,

সাকিব কে বাসায় দেখতে পাচ্ছি না হয়তো অফিসে চলে গিয়েছে,,,

আমি ইশিতার দরজার সামনে দাঁড়াতেই ইশিতার স্পষ্ট কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলাম,,,,আমি দরজায় দাড়িয়ে ইশিতাকে একটা ডাক দিলাম,,,সাথ সাথ কান্নার আওয়াজটা কয়েক সেকেন্ডের জন্য অফ হয়ে গেল,,,হয়তো বুঝার চেষ্টা করছে কে আমাকে ডাকে,,,আমি আবার ও ইশিতাকে ডাক দিলাম,,,এবার কান্নার আওয়াজটা একটু বেড়ে গেলো,,,হয়তো বুঝে ফেলেছে আমি এসেছি,,,,

আমি আরো কয়েকটা ডাক দিলাম দরজা খুলার জন্য,,,নাহ প্রতিবারই কান্নার আওয়াজ বেড়ে চলছে,,, আমি একনাগাড়ে ডেকেই যাচ্ছি,,,আর ও একনাগাড়ে কান্না করেই যাচ্ছে,,,

অলরেডি 30 মিনিট ওভার হয়ে গিয়েছে আমি দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে ওকে ডাকছি,কিন্তু ও দরজা খুলছে না,,, এবার মেজাজটা একটু খারাপ হয়ে গেল,,

আমি দরজা জোড়ে ধাক্কা দিয়ে ডাকতে লাগলাম,, দরজা খুলবে কি খুলবে না বল,,,আর যদি দরজা না খুলো,,,তাহলে এ বাড়িতে আজীনের জন্য থেকে যেও,,,ঐ বাড়িতে আর যাওয়ার দরকার না,,,আমি চলে যাচ্ছি,,,,

ইশিতা তার পর ও দরজা খুলছে না,,,এবার মেজাজটা আরো খারাপ হয়ে গেল,,,কি হল তুমি দরজা খুলবে না,,আচ্ছা ঠিক আছে দরজা খুলার দরকার নেই,,,, যত পারো কান্না করো,,,আমি চলে যাচ্ছি,,,, একথা বলে চুপ করে সাইট হয়ে দাড়িয়ে রইলাম,,, কিছুক্ষণ কোন সাড়াশব্দ করলাম না,,,

ইশিতার কান্না অফ হয়ে গেল,,,হয়তো মনে মনে বলছে,,,ও কি সত্যি সত্যি চলে গেছে,,,,

আমি কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে,,আবার ও দরজার সামনে গিয়ে ডাক দিলাম,,,আমি ডাক দেওয়ার সাথে সাথে কান্নার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি,,,, হয়তো বলছে ও এখনো যায় নাই,,, মেয়েরা আর কিছু পারোক আর না পারক,, কান্না করে অনেক কিছু হাছিল করতে পারে,,যে কোন পুরুষকে ঘায়েল করতে পারে?

কি হল তুমি দরজা খুলবে না,,,,এবার যদি দরজা না খুলো,,তাহলে আমি সত্যি সত্যি চলে যাবো,,, তার পর দেখি কি করো

নাহ আর থাকবো না,,এবার সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে যাবো,,,এমন সময় দরজা খুলার আওয়াজ শুনতে পেলাম,,,

আমি রুমের ভিতরে প্রবেশ করে দেখি,,মাথা নিচের দিকে দিয়ে বিছানার কাছে দাঁড়িয়ে আছে,,,

আমি তার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম ,,,সে মুখ অন্য দিকে ফিরিয়ে নিল,,,আমি আবার ও সামনে গেলাম,,,সে এবার ও অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নিল,,, বুঝতে পেরেছি অনেকটা অভিমান করে বসে আছে,,,, কিন্তু আমি তার অভিমান ভাঙাবো না,,,, সে না বলে এখানে আসলো কেন,,,

আমি তার হাতটা ধরলাম, এবং বললাম,,,কার কাছে বলে এখানে এসেছো,,

ইশিতা অবাক হয়ে আমার দিকে তাকালো,,,হয়তো এ মুহূর্তে এ কথাটা আমার কাছ থেকে আশা করিনি,,,সে হয়তো ভেবে ছিল,,,ও সারা রাত কান্না করেছে,,,রাগ করে অভিমান করে চলে এসেছে,,, আমি তার রাগ অভিমান ভাঙ্গিয়ে বলবো,,,সরি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছি,,,ঐ সময় আমার কি হয়ে ছিল জানিনা,, তোমার সাথে এরকম ব্যাবহার করেছি আমাকে ক্ষমা করে দাও,,,কিন্তু আমি তাকে উল্টা জিজ্ঞাসা করছি,,,তুমি কার কাছে বলে এ বাড়িতে এসেছো,,,

ইশিতা কোন কথা বলছে না,,তাই আমি আবারও জিজ্ঞাসা করলাম,,,কি হল কথা বলনা কেন,,,কার কাছে বলে এ বাড়িতে এসেছো,,,

কারো কাছে না,,(( ইশিতা)))
তাহলে আসলে কেন,,,কথা বল, আমার কথার উত্তর দাও,,,,তোমার সাথে একরাত কথা বলি নাই,,, তুমি রাগ করে অভিমান করে চলে এসেছো,,,,তোমার সাথে কথা বলি নাই তুমি যত টুকু কষ্ট পেয়েছো,,,তার চেয়ে ও বেশি কষ্ট পেয়েছি আমি,,,সারা রাত ঘুমাতে পারি নাই,,,৪ বছর পর তুমি আমার কাছে আসার পরে ও কেন তোমার সাথে এরকম ব্যবহার করলাম জানো তুমি,,,

ইশিতা আমার কথা শুনে আমার দিকে অবাক হয়ে ঘুরে তাকালো,,,

এক এক করে ইশিতাকে সব কিছু খুলে বললাম,,,ইশিতা বলতে লাগলো,,, বিশ্বাস করো তুমি,, আমি শাকিবের সাথে মার্কেটে যেতে চাইনি,,,ও আম্মুকে অনেক রিকুয়েস্ট করে বলল,,, তার পর ও আমি যেতে রাজি হয়না,,,,কারন তুমি যে বোরকাটা পড়ার জন্য বলে ছিলে,,ঐ বোকরাটা ধুয়ে শুকাতে দিয়েছিলাম,,,,,কিন্তু আম্মুর অনেক রিকুয়েস্ট এর পরে ঐ বোকরা টা যেটা তুমি পছন্দ না করো ঐ টা পড়ে গিয়ে ছিলাম,,আমি সরি,,,আর এরকম বোকরা কখনো পড়বো না,,

আচ্ছা ঠিক আছে চলো,,এবার বাসায় চলো,,,আর কখনে না বলে এবাড়িতে আসবানা,,,যদি প্রয়োজন হয় আমাকে বলবা আমি নিয়ে আসবো,,,

ইশিতাকে নিয়ে রাস্তায় দাড়িয়ে আছি,,, অনেকক্ষণ হয়ে গেল একটা রিস্কা ও পাচ্ছি না,,, নাহ আর দাঁড়িয়ে না থেকে দুজন হাটতে শুরু করলাম,,, দুজন পাশা পাশি হাটছি,,, ঈশিতার হাত আর আমার হাত বার বার স্পর্শ হচ্ছে,,,কিন্তু আমি ইশিতার হাত ধরছি না,,,ইশিতা হয়তো চাচ্ছে ওর হাতটা আমি ধরি,,,বার বার ওর হাতটা আমার হাতের সাথে ইচ্ছাকৃতভাবে স্পর্শ করছে,,,আমি একটু মজা নেওয়ার জন্য,,,আমার হাত দুটা পকেটে ঢুকিয়ে ফেললাম,,,,,ইশিতা আমার দিকে একরাব তাকালো,,,হয়তো মনে মনে বলছে,,শয়তা পোলা হাত দুটো পকেটে ঢুকিয়ে ফেলছিস কেন,,আমার সাথে ভাব ধরিস,,, যাহ তোর হাত ধরবই না?

আমি পকেট থেকে একটা হাত বের করে ইশিতার হাতটা ধরলাম,,,সাথ সাথ ইশিতা আমার দিকে তাকালো,,,৪বছর পর ভালবাসার মানুষের হাত স্পর্শ করছি,,,হাতটা একদম পিচ্চি বাচ্চাদের হাতের মত,,দেখলে বুঝা যাই না ২৩ ২৪ বছরের মেয়ের হাত,,,হাতে নখ গুলো একটু বড়,,, প্রতিটি নখে লাল রঙ্গের নীল পালিশ দেওয়া,,,আর হাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফুটে উঠেছে যেটা সেটা হল আমার পরিয়ে দেওয়া রিং

আমি হাতটা ধরে অল্প একটু জোরে চাপ দিলাম,,ইশিতা কোন সারা শব্দ করলো না,,
এবার আমি একটু জোরেই চাপ দিলাম,,,
ইশিতা এবার জোরে উহহহ করে উঠলো,,
আমি সাথে সাথে হাত ছেড়ে দিলাম,কি হল ব্যাথা পেলে,,
যাহ এতো জোরে কেউই চাপ দেই,,,

ইশিতার দিকে লক্ষ করে দেখি চোখে পানি টলমল করছে,,,নাহ সত্যিই অনেকটা ব্যাথা পেয়েছে,,,না হলে চোখে পানি আসতো না,,এত জোরে চাপ দিওয়া আমার ঠিক হয়নি,,,

আমি ইশিতার সামনে গিয়ে ইশিতার থুতাই হাত দিয়ে মাথা উপরে তুললাম,,, ইশিতার চেহেরার দিকে তাকিয়ে তো আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি,,, এতক্ষণ কথা বললাম আমিতো চেহারার দিকে লক্ষ্য করি নাই,,,রাত থেকে এ পর্যন্ত কান্না করতে করতে চেহারার একবারে বাজে অবস্থা করে ফেলেছে,,,চোখ গুলো আগুনের মত লাল হয়ে আছে,,,নাকের ডগায় মনে হচ্ছে রক্ত জমাট বেঁধেছে,,,বেশি কান্নার কারণে ফর্সা চেহেরা সূর্যের লাল রক্তিম কালার ধারণ করেছে,,,,নাহ এভাবে কষ্ট দেওয়া আমার ঠিক হয়নি,,, আমি গতকাল রাতে একটু বেশিই করে ফেলেছি,,,, হঠাৎ করে হয়তো আমার এমন ব্যবহার মেনে নিতে পারে নাই,,, তাই সারারাত কান্না করেছে

আমি ইশিতার দুগালে হাত দিয়ে বললাম,,,এ কি কান্না করতে করতে চেহেরার কি বাজে অবস্থা করেছো,,,এভাবে কেউ কান্না করে,,,

তোর ব্যবহারের জন্যই তো””((অভিমানি কন্ঠ))

আসলে আমি রেয়েলি সরি,,,আমি বুঝতে পারিনি তুমি এতটা কষ্ট পাবে,,,,কি করবো বল ঐ সময় আমার মাথা ঠিক ছিলনা,,, এক হলো মাথা ব্যথা আর এক হল তোমার চিন্তা,,দুনোটা মিলিয়ে আমার মাথা নষ্ট করে দিয়েছিল,,,তাই মুখ দিয়ে যা এসেছে তাই বলেছি,,,এবারের মত তোমার পিচ্চি বরটাকে মাফ করে দাও,,,

কোন মাফ নাই (((গাল মুখ ফুলিয়ে)))

আমি()কেন সরি বললাম তো,,আর কখনো এরকম করবোনা,, তোমাকে কষ্ট দিবো না,,,এবারের মত মাফ করে দাও,,,

((ইশিতা))বললাম তো কোন মাফ নাই ,,,তুমি আমাকে বেশি কষ্ট দিয়েছো,,,সারা রাত কান্না করিয়েছো,,এত সহজে মাফ করে দিলে,তুমি আমাকে আবার কষ্ট দিবে,,,

(((আমি))আর কখনো কষ্ট দিবো না,,এই যে প্রমিস করে বলছি,,,

ইশিতা))))না হবে না?

আমি))(তাহলে কি করলে মাফ করবে,,,

ইশিতা))())যা বলবো তা করবে তো,,,

আমি))))হ্যা করবো,,,

ইশিতা)))কিছু শর্ত মানতে হবে,,,

আমি))()কি শর্ত

ইশিতা)))কি শর্ত আগে বলতে পারবো না,আগ তুমি বল আমার শর্ত গুলো মানবে কি মানবে না

আমি)))হ্যা মানবো।

প্রথম শর্ত,,,গতকাল রাত থেকে কিছু খায় নাই,, প্রচুর খিদে লেগেছে,,,এখন বাসায় গিয়ে আমাকে নিজ হাতে খাইয়ে দিতে হবে,,

আমি)))কি বল তুৃমি, কাল রাত থেকে কিছু খাওনায়,,এজন্যই চেহেরার এ অবস্থা করেছ
চল এখন তারাতারি বাসায় চলো?

ইশিতা))))না আগে আমার শর্ত গুলো শুন,,,

আমি))))শর্ত পরে শুনবো,,আগে তারাতারি বাসায় চল,,,এভাবে না খাইয়ে থাকলে শরিলে রুগ বেধে যাবে

ইশিতা)))কিচ্ছু হবে না আমার,,, আগে আমার শর্ত গুলো শোনো,,,

আমি))))বললাম তো পরে শুনবো,,,আগে বাসায় চল,,,বাসায় গিয়ে তার পর শুনবো,,,

ইশিতা))))তার মানে তুৃমি আমার শর্ত গুলো শুনবে না,,,

আমি))))আচ্ছা ঠিক আছে তারাতারি বল?

ইশিতা))))) প্রথম শর্ত মনে আছে তো

আমি)))হ্যা আছে

,,,তাহলে দ্বিতীয় শর্ত,, আজকে থেকে আমি যা চাইবো,,, তা অনায়াসে এনে দিতে হবে কখনো না করতে পারবা না,,,

আমি))))আচ্ছা ঠিক আছে এনে দিবো,,

তাহলে তৃতীয় শর্ত,,,

আমি))))হ্যা বল

আমি যদি কখনো কোন ভুল করি তাহলে আমাকে শুধরিয়ে দিবে,,, আর না হয় আমাকে বলবে আমি শুধরে নিব,,, কিন্তু আমাকে না বলে,, তার কারণে আমাকে ইগনোর করা চলবে না,,,, আমাকে দূরে সরিয়ে দিতে পারবে না,,, ধমক দিতে পারবে না,, যদি আমাকে কিছু না বলে আমার সাথে গত কালের মত উল্টাপাল্টা কিছু করো তাহলে একটা বাড়ি দিয়ে মাথাটা ফাটিয়ে হসপিতালে ভর্তি করে রাখবো??

হিহিহি,,তার পর তুমিই কাদবে,,

ইশিতা)))কাঁদলে কাঁদবো,,

চতুর্থ শর্ত,,

আমি))))))আরো আছে?

ইশিতা)))))))হ্যা আরো অনেক

আচ্ছা দাঁড়াও এক মিনিট,,, এই মিয়া আপনারা শুনছেন নি,,,আরে ঐ দিকে কি দেখেন,,,আমার দিকে তাকান
আপনাকে বলছি,,,শুধু তো গল্প পড়তে বসে থাকেন,,, কীর্তি কারবারটা দেখছেননি,,,আমার সিনিয়র আপুর,,, নাউজুবিল্লাহ সিনিয়র বউয়ের,,,হেতে আর বউ ওইয়া মটর সাইকেলে আরেক ছেমরার লগে ল্যাপটি মাইরা ঘুইরা বেড়ায় ছে,,,গার সাথে গা ঘেসে ছবি তুলছে,,, তার এই অপরাধের জন্য আমার কাছে একবার সরি বলছে আমি মাফ করে দিছি,,,আর আমি তার সাথে একটু রাগ দেখিয়ে কথা বলছি,,,তার পর ৩ বার সরি বললাম,,,কিন্তু আমার মাফ নাই,,, এই মাঝ রাস্তায় রোদের মধ্যে দাড়িয়ে আমাকে শর্ত দিচ্ছে,,, অলরেডি তিনটা দিয়ে ফেলেছে আরো অনেক আছে,,, কেমনটা লাগে বলেন,,মেজাজটা গরম হয়ে যায়নি,,, মনটা ক থাপড়াইয়া সবগুলো দাঁত ফেলে দেয়,,,মেয়েদের কে বেশি ভালবাসা দেখানো ঠিক না,,,তাহলে তারা আহ্লাদী হয়ে মাথা চড়ে বসে,,,

ইশিতা)))))এই কি হল কাকে থাপড়িয়ে দাঁত ফালানোর কথা বলছো,,

আমি)))))না কাউকে না,,কি বলতে ছিলা বল,

তাহলে চতুর্থ শর্ত শুন,,,

আমি)))))হ্যা বল,,
এই ৪ বছরে তুমি ছিলেনা বলে,,, আমার কোন পছন্দের জায়গায় ঘুরতে যেতে পারি নাই,,এখন থেকে প্রতি বিকেল বেলা আমাকে আমার পছন্দের জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যেতে হবে,,, এবং আজ বিকেলে এক জায়গায় যাব ওই জায়গায় নিয়ে যেতে হবে,,,

আমি))((যথা আজ্ঞা,,

তাহলে পঞ্চম শর্ত পঞ্চম শর্তটা কিন্তু একটু কঠিন

আমি)))))যত কঠিন হোক তুমি বলো,,

ইশিতা))))আমাকে সারা রাত কাঁদানোর জন্য এবং কষ্ট দেওয়ার জন্য,,এই মাঝ রাস্তায় ২০ বার কান ধরে উঠবস করতে এবং বলতে হবে আমাকে আর কখনো কষ্ট দিবে না,,,

আমি)))কি বল তুমি,,,এর আগের শর্ত গুলো ঠিক আছিলো,,কিন্তু এটা কি শর্ত দিলে তুমি,, এ মাঝ রাস্তায় এত মানুষের মধ্যে আমি 20 বার কানে ধরে উঠবস করব,,,

ইশিতা))(হ্যা করতে হবে,,দরকার হলে আরো মানুষ ডেকে আনবো,,তার পর করতে হবে,,,

নাহ মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল,, মান সম্মান আজ আর থাকবে না,,, মন চাচ্ছে উপরে তুলে একটা আছাড় মারি,,দেখতে তো পিচ্চি মাইয়ার মত লাগে,হাত পা ছোট ছোট,মুখটা গুল,, মনে হয় ১৬ ১৭ বছরের মেয়ে,,কিন্তু কে বলবে এ মেয়ের বসয় ২৩ ২৪,,,, আমার চেয়ে দের দুই বছরের বড় ,,

((চলবে))) ।


Tags: , , , , , , , , ,

Comments are closed here.