সিনিয়র আপু যখন বউ (পর্ব-৩)
(Senior Apu Jakhan bow)

December 3, 2020 | By Admin | Filed in: প্রেমকাব্য, সিনিয়র আপু যখন বউ.

View all stories in series

 

সিনিয়র আপু যখন বউ (পর্ব-৩)

(ঈশিতা আপু) আচ্ছা তোর ফারাবী ভাইকে দেখছিস।

(((((আমি) ঐ তুই আমার দিকে তাকিয়ে আছিস ক্যান “”সামনে তাকিয়ে কথা বল তানাহলে আপু বুঝে ফেলবে আমি এখানে।))))

(ইব্রাহিম) জি, না আপু?

(ঈশিতা আপু) তুই আমার সাথে কথা বলছিস,,আমার দিকে না তাকিয়ে বারবার দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে কি দেখিস কে আছে দেওয়ালের ঐপাশে।

(আমি) হায় আল্লাহ ওরে নিয়া আইসা ত বড় ভুল করছি ও তো এখন আমাকে ধরা খাওয়াবে নিশ্চিত।

—–আমি হাত দিয়ে ওরে ইশারা করে বললাম বল যে কেউই নাই।।।।

(ইব্রাহিম) কেউ নাই তো আপু?

(ঈশিতা আপু) আচ্ছা ঠিক আছে”” তোর নাম জানি কি।

(আমি) আল্লাহ বাঁচাইছে কথা বলে যা” এদিকে আর তাকাবি না????

ইব্রাহিম) ইব্রাহিম আপু।

(ঈশিতা আপু) এখন কোন ক্লাসে পড়তেছিস

(ইব্রাহিম) ক্লাস এইটে পড়ি?

(ঈশিতা আপু) আচ্ছা ঠিক আছে সকাল বেলা এত ঘুরাঘুরি না করে বাসায় যা।

(ইব্রাহিম) ঠিক আছে আপু?

ইব্রাহিম আমার কাছে এসে ভাই আপনি আপুকে এত ভয় পান কেন?

(আমি) ওই তুই বারবার আমার দিকে তাকাচ্ছিলে কেন আর আমি ঈশিতাকে ভয় পাই না।

(ইব্রাহিম) তাহলে লুকিয়ে ছিলেন কেন।

(আমি) তুই বুঝবি না যা এখন গিয়ে দেখ ঈশিতা আপু গেছে কিনা।

—ভাই ঈশিতা আপু যদি আমাকে আবার দেখে ফেলে তাহলে তো অনেক ধমক দিবে।

–আমি জানি তুই ওখান থেকে লুকিয়ে দেখ।

—ইব্রাহিম একটু সামনে গিয়ে আপুতো বারান্দায় নাই মনে হয় বাসার ভিতরে গেছে। আমি ইব্রাহিম এর কথা শুনে তাড়াতাড়ি বাইকে ওঠে বাইক স্টার্ট করে??

—ওকে বললাম তাড়াতাড়ি বাইকে ওঠ।
তারপর একটানে আমাদের বাসায়।

আমি আমার রুমে প্রবেশ করলাম,,এমনি আম্মু এসে বলতেছে এতক্ষণ লাগে তোর খালামণির বাসা থেকে আসতে আর এ বাইক কার।

(আমি)বাইক এটা আমার বন্ধু সুমনের”

(আম্মু) তোর বাইক কই

নতুন ভিডিও গল্প!

(আমি)একটু সমস্যা হয়ছে তাই গ্যারেজে দিছি”” বিকেলে নিয়ে আসব।

(আম্মু) দুদিন পরে পরে বাইকের সমস্যা বাইক বিক্রি করে দে””

(আমি)—-বাইক বিক্রি করে দিলে চলবো কি করে ভার্সিটি যাব কি করে।

(আম্মু) আরে ইব্রাহিম তুই

আমি অরে নিয়া আইছি বাজার করার জন্য।

(আম্মু) ভালো করছিস। এখন তরা দুজন নাস্তা করে নে,,, না আমি করবো না আমি করে আসছি খালামণির বাসা থেকে ইব্রাহিমকে করাও।

—না একটু ঘুমানো দরকার সারারাত ঘুমাতে পারিনি,, রাতে কালো কফি খাইলে এ আরেক জ্বালা রাতে ঘুম হয় না।

— যানি এখন ঘুম আসবে না তারপরও একটু চেষ্টা করি,,, বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম কোন সময় জানি চোখ লেগে গেছে বলতে পারিনা।

দুপুর 12 টা 30 আম্মুর ডাক এই ফারাবী ওঠ নামাজে যাবি না।
হা আম্মু যাব তো আর একটু ঘুমাই।।
এখন কয়টা বাজতে চলছে যানিস ১২.৩০

কি তুমি আরো আগে ডাক দিবানা।
কখন থেকে ডাকতেছি তোর উঠার কোন নাম গন্ধ নেই।। আচ্ছা ঠিক আছে তুমি এখন যাও,,

আমি গোসল দিয়ে যখন পাঞ্জাবি পড়তে যাব।।। পাঞ্জাবি দেখে তো আমি আশ্চর্য হয়ে গেছি,,, কারণ পাঞ্জাবির সাথে আমার সব গুলো প্যান্ট শার্ট আয়রন করা।
আমার জানামতে তো ভুয়া দুই দিন ধরে বাসায় নাই। তাহলে এতগুলো শার্ট প্যান্ট পাঞ্জাবি কে আয়রন করছে। আমার আম্মু তো এতোগুলো শার্ট প্যান্ট আয়রন জিন্দেগীতেও করবে না,,, তাহলে কে করেছে,,,

আম্মু আম্মু ঐ আম্মু
(আম্মু) কি হইছে এভাবে ডাকতেছি ক্যান।

(আমি) আমার এত গুলা শার্ট প্যান্ট পাঞ্জাবি কে আইরন করছে তুমি।

(আম্মু) না?
(আমি) তাহলে?
(আম্মু) তোর ঈশিতা আপু?
(আমি) কখন করলো।।
(আম্মু) গতকাল বিকালে ওর নাকি বাসায় একা একা ভালো লাগছিল না তাই এর জন্য আমাদের বাসায় আসছিল,,,, আর ঐসময় আমি তোর ওই নীল পাঞ্জাবী টা আইরন করতেছিলাম জুম্মার নামাজ পড়ার জন্য।।। ঈশিতা বলল খালা আমার কাছে দাও তখন তোর পাঞ্জাবি শার্ট গুলো আইরন করে দিছে।

—- ইদানিং আপুর চাল চলন তো একবারে ভাল দেখতেছি না আমাকে খুব কেয়ারিং করে আবার মাঝে মাঝে ঝারি বকা ও দেয়””আমার পছন্দের জিনিস রান্না করে ফোন দিয়ে নিয়ে খাওয়ায়,,, আমার আশেপাশে কোন মেয়ে দেখতে পারে না এমন কি আমার বেস্টফ্রেন্ড রিয়া কেউ না”” আপুর মনে কি কিছু চলতেছে নাকি””

আর আমার ও ইদানিং আপুকে দেখলে কি জানি হয়ে যাই,, যা বলে তা বাধ্য ছেলের মতো মেনে নেই।। আর মেনে না নিয়ে উপায় আছে,ঐ গুন্ডি মেয়ে জোর করে হলো ও করাবে” তার ওপর বড় আপু,,, কিন্তু সমস্যা একটা আগে গায়ে হাত তুলতো না,,, ইদানিং কথায় কথায় থাপ্পর মারে,,,
আর থাপ্পর মারলে ও কি,,, ভার্সিটির কত পোলাপাইন আছে আপুর হাতে দিনে 50 টা থাপ্পর খাইতে রাজি । না এখন এভাবে ভাবনা জগতে পড়ে থাকলে চলবে না,,,পরে জুম্মার নামাজ তাকবীরের শহীদ পড়তে পারবো না””” মসজিদে যায়।

—-দুপুর ১ বেজে ৫০ জুম্মার নামাজ শেষ করে মসজিদ থেকে বাহির এসে দেখি চাচ্চু রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে মানে রিয়ার বাবা। আমি চাচ্চু কাছে গিয়ে রিয়ার বিয়ের সম্পর্কে সবকিছু বললাম,,, চাচ্চু আমার সব কথা শুনে মেনে নিয়েছে লেখাপড়া শেষ করার আগে বিয়ে হবে না।

—যাক রিয়াকে একটা ফোন দেই।

–রিং হচ্ছে একবার রিং হওয়ার পরেই
—ফোন ধরেছে।।
—হ্যালো রিয়া কি করিস?
(রিয়া) এই তো নামাজ পড়তেছি।।।
(আমি) আর শোন তোর বিয়ের ব্যাপার নিয়ে চাচ্চুর সাথে কথা বলছি,,, চাচ্চু সব মেনে নিয়েছে so বিয়ের চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দে।
(রিয়া) সত্যিই আমি তো বিশ্বাস করতে পারতেছি না,,,

হা বাবা সত্যি?

এখন আমি অনেক খুশি thank you,,, thanks a lot এখন তুই এক কাজ কর আমাদের বাসায় চলে আয় একসাথে লাঞ্চ করব।।
(আমি) না না আব্বু আম্মু আমার জন্য বসে আছে।
(রিয়া) তাহলে বিকেলে তুই তো গীটার নিয়ে আমাদের বাসায় চলে আসবি। আমার বিয়ে না হওয়ার খুশিতে ছাদে আড্ডা হবে এবং তোর পছন্দের খাবার ও থাকবে।।।
না না বিকেলে আসতে পারবো না আসলেও সন্ধ্যার 7 দিকে,,,””
(রিয়া) কেন?
(আমি) একটা জরুরি কাজ আছে।।
(রিয়া) তোর কিসের জরুরী কাজ সেটা আমি জানি ক্রিকেট খেলা,,,, এই খেলা ছাড়া কিছুই বুঝিস না।।
(আমি) না না খেলে না অন্য আরেকটা কাজ আছে।।
(রিয়া) আচ্ছা ঠিক আছে সন্ধ্যা সাতটার দিকে আসবি তো conform,,,

আমি) হ্যা conform আসবো।
এখন আমি রাখি,,,
কথা শেষ করে রাস্তা দিয়ে হাটা শুরু করলাম হঠাৎ করে ইশিতা আপুর ফোন,, এই মেয়ে আবার আমাকে ফোন দিছে কেন সকালের থাপ্পরের কথা এখনো আমার মনে আছে ফোন ধরবো না।
ফোন কেটে দিলাম আবার ফোন দিল আবার কেটে দিলাম।

কিছুক্ষণ পরে একটা মেসেজ মেসেজটা ওপেন করে দেখে ঈশিতা আপুর??
প্লিজ ফোনটা ধর মেসেজ টা দেখতে দেখতে আবার ফোন,,, এবার রিসিভ করলাম,,,,
(আমি) আপু বল।
(ঈশিতা আপু) ওই কুত্তা তোরে না বলছি আমাকে আপু ডাকবি না।
(আমি) হায় আল্লাহ এই আপনি এত ঝামেলায় আছি,, আমি ভাবলাম সকালে থাপ্পর দিছে এখন বুঝি সরি বলবে তা না করে উলটা আর বকা দেওয়া শুরু করছে।
(ঈশিতা) কি হল কথা বলো না ক্যান?
(আমি) দেখো আপু আমার অনেক দিনের অভ্যাস তোমাকে আপু ডাকতে ডাকতে তাই হঠাৎ করে ঈশিতা মুখ দিয়ে আসবে না? একটু সময় লাগবে।
(ঈশিতা আপু) সময়ের গুল্লি মার আর তুই এখন থেকে ঈশিতা বলে ডাকবি।
(আমি) আচ্ছা ঠিক আছে ট্রাই করবো।।
(ঈশিতা আপু) কোন ট্রাই মাই নাই তোরে বলছি ঈশিতা বলে ডাকবি ব্যস ইশিতা বলে ডাকবে।
(আমি) আচ্ছা ঠিক আছে এখন বলেন কি জন্য ফোন দিছেন।।
(ঈশিতা আপু) বলেন দিছেন মানে কি।
(((হায় আল্লাহ এই মেয়ের যা বলি তা ঐ ভুল মনে মনে))))
আমি কিছু বলব না তুমি ঐ বল?
ঈশিতা আপু একটু হেসে এইতো গুড এভাবে তুমি করে বলবি,, এখন আমাদের বাসায় আই।
(আমি) কেন??
(ঈশিতা আপু) একসাথে লাঞ্চ করব?
(আমি) না আসবো না?
(ঈশিতা আপু) কেন?
(আমি) তুমি না সকালে বলছ তোমাদের বাসায় আর না যাওয়ার জন্য??
(ঈশীতা আপু) সকালে বলছি এখন বলতেছি আসার জন্য তুই আসবি কি না তাই বল।
(আমি) না আসব না?
(ইশিতা আপু) তুই না আসলে তোদের বাসা থেকে ধরে আনবো??
(((এই মেয়ের চালচলন তো কিছুই বুঝতেছি না,, এমন করে কেন আমার সাথে আমাকেই বকবে আমাকেই মারবে আর আমাকেই আদর করে ডেকে নিয়ে খাওয়াইবে।))))))
(আমি) আচ্ছা ঠিক আছে আসতেছি??
10 মিনিট পর আপুর দরজার সামনে কলিংবেল চাপতেই আপু দরজা খুলে দিল,, আমি ভিতরে ঢুকে সোফায় বসলাম,, আপু ও আমার সাথে সাথে সোফায় বসল,, তারপর আমার হাত ধরে বলতেছে,,, সকালের এমন ব্যবহার এর জন্য সরি আসলে আমার খুব রাগ উঠে গিয়েছিল তাই তোকে থাপ্পর মারছি খুব লেগেছে তাই নারে। (((কণ্ঠটা একটু নরম করে)))
আমি আপুর এরকম নরম কন্ঠ কখনো শুনি নাই তাই আপুকে বললাম আমি কিছু মনে করি নাই,,,
তাহলে এখন চল খাবি?
আমিও বাধ্য ছেলের মতো খাবার টেবিলে গিয়ে বসলাম??
আপু আমাকে খাবার দিতে দিতে বলছে,,
আজকে কি পাক করছি জানোস।। তোর প্রিয় খাবার গরুর মাংস ভুনা আর চিংড়ির চরচরি,,,
ওয়াও তুমি কি করে জানো এগুলা আমার পছন্দের।।
(ঈশিতা আপু) আমি আরো অনেক কিছু জানি??
(আমি) কি জানো?
ঈশিতা আপু) না কিছু না কথা না বলে আবার শুরু কর।
আমি খাবার শুরু করলাম,, সবগুলো আমাকে দিতেছ কেন তুমি খাবে না??
তোর জন্যই তো পাক করছি।
তাই বলে তুমি খাবা না।
খাব?
তাহলে শুরু কর।
আমমমমমমম? খাবারের কোন আওয়াজ হয় নাকি??

–খাবার শেষ করে আমি ড্রয়িং রুমের সোফায় বসলাম,,, কিছুক্ষণ পরে আপু আসলো,,, হায় আল্লাহ আমিতো এতক্ষণ আপুকে খেয়ালই করিনাই,,
আপু একটা ফতুয়া পড়ছে ফতুয়াটা সামনের দিকটা একটু ঝোলা,, কথাটা শেষ করতে পারলাম না।। আপু এসে আমার সামনে সোফায় হেলান দিয়ে বসল,, এখন আমি আপুর দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছি?
আপু আমার তাকিয়ে থাকা দেখে সোফার হেলান ছেড়ে আমার দিকে একটু ঝুঁকে কিছু বলতে যাবে?
তখন আমি চোখে যা দেখলাম তা দেখার জন্য মোটে ও প্রস্তুত ছিলাম না,, আমি চোখ বন্ধ করে ফেললাম ।।।

((((চলবে))))
।।


Tags: , , , , , , , , , ,

Comments are closed here.