সিনিয়র আপু যখন বউ (পর্ব-১৫)

December 20, 2020 | By Admin | Filed in: চটি কাব্য, সিনিয়র আপু যখন বউ.

★ফারিয়া এসে বলল ভাইয়া খাবার টেবিলে তোমার জন্য সবাই ওয়েট করতেছে?

★আমি মনে করেছি খানার টেবিলা গেলে আপুকে দেখতে পাবো,,,

★তাই আমি তাড়াতাড়ি খাবার টেবিলে চলে গেলাম,,, খাবার টেবিলে গিয়ে তো আমি চমকে গেলাম,, খানার টেবিলে সবাই আছে,, কিন্তু আপুকে দেখতে পাচ্ছি না,,, সবার চেহারাই স্বাভাবিক দেখা যাচ্ছে।। কিন্তু আমার আর মন মানছে না,,, সারা শরীর কাঁপতে লাগলো,,, কোথায় গিয়েছে আপু,,, রাত এখন সাড়ে নয়টা বাজে,,, আর সবাই কে স্বাভাবিক দেখছি,,, তার মানে কিছু হয় নাই তো,,,, কিন্তু আমার মনে হচ্ছে বুকের ব্যাথাটা ক্রমেসে বাড়তে লাগলো।।
কখনো তো আমাকে না বলে কোথাও যায় না,,, তাহলে আজকে কোথায় গেল,,, সব চিন্তা মাথার মাঝে এসে ভর করেছে।। আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে নানা বাই বলতে শুরু করলো।কি হয়েছে নানা বাই দাড়িয়ে আছো কেনো? আমি বললাম নানা বাই আপু কোথায় গিয়েছে। কিন্তু নানা ভাই কিছু বলছে না।সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে ,,, নিজেকে আর ধরে রাখতে পারছি না,,,, মনে হচ্ছে আমার পুরো মাথা ঘুরছে,,, এখনই বুঝি পড়ে যাব।

★ হঠাৎ করে পিছন থেকে কে যেন মাথায় একটা ধোসা দিল,,, আমি পিছনে ফিরে ব্যাক ছেঁকা খেয়ে গেলাম,,, গণ্ডি মেয়ে আমার পেছনে দাঁড়িয়ে,,, আমি বুঝতে পেরেছি সবাই কেন আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। শাকচুন্নি এতক্ষন কোথায় ছিলো।
আজকে শাকচুন্নি কে মজা দেখাবো,,, আমাকে টেনশন রাখা।।

(আপু) এখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেন।

আমি কোন কথা বললাম না,, এমন ভাব করেছি যে আমি খুব রেগে আছি।।

(আপু)(((( পিচ্চির আবার কি হলো))))))

★ দুজনে খানার টেবিলে গিয়ে বসলাম,,, খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমি আমার রুমে গিয়ে টিভি দেখতে লাগলাম,,, আসলে মোবাইল নাই তো,,, তাই টিভি দেখছি,,, একটা ছেলের সব কিছু থাকলেও কিন্তু মোবাইল না থাকলে,,, সম্পূর্ণভাবে একা,,, মোবাইল ছাড়া সময় যেন এক জায়গায় দাড়িয়ে থাকে;; কিছুক্ষণ পরে আমার রুমে শাকচুন্নির আগমন,মানে আপু আগমন?

আমার পাশে সোফায় বসে বলতে লাগলো কি হয়েছে,,,

আমি কোন জবাব দিচ্ছি না।।।

(আপু) কি হলো কথা বলিস না কেন।

তার পরে আমি কোন জবাব দিচ্ছি না।

(আপু) আরে কি হয়েছে বলবি তো,,আমি কি আবার কোন কিছু করেছি?

(আমি) কি করো নাই সেটা বল,,, এতক্ষণ কোথায় ছিলে তুমি,,, সন্ধ্যা থেকে সারা বাড়ি তন্ন তন্ন করে তোমাকে খুঁজছি কোথাও তোমার দেখা নাই।

(আপু)ও আমি বুঝতে পেরেছি,,, এজন্য আমার সাথে কথা বলিস না,,,, আসলে আমি একটু শপিংমলে গিয়েছিলাম।

(আমি) শপিংমলে গিয়েছো ভালো কথা আমাকে তো একবার বলে যাবা,,, কত টেনশনে ছিলাম আমি জানো,, তোমাকে দেখতে না পেয়ে কেমন যেন অস্থির অস্থির লাগছিল)))

(আপু)তোকে কি ভাবে বলে যাবো,,,তুই তো ফারিয়াকে নিয়ে ঘুরতে গেলি,,,আর তোর তো মোবাইল ও নাই যে তোকে ফোন করে বলবো”””

আমি আর কিছু বললাম না।

(আপ) তোর জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে,,

(আমি) লাগতো না তোমার কোনো সারপ্রাইজ আমার।।

(আপু) এখনো রেগে আছিস আমার উপর,,, আচ্ছা বাবা আমি সরি আর কখনো তোকে না বলে কোথাও যাবো না,,
এখন চোখটা বন্ধ কর।

(আমি) চোখ বন্ধ করবো কেনো,,

(আপু) আমি বলছি তাই।
(আমি)না আমি চোখ বন্ধ করব না।
(আপু)তুই চোখ বন্ধ করবি না,, আচ্ছা ঠিক আছে আমি চলে যাচ্ছি।

(আমি)এই না না তুমি যেও না,, আমি চোখ বন্ধ করছি,,,

আমি চোখ বন্ধ করার পরে আপু আমার কাছে এসে আমার হাতে একটা বক্স দিল।।
আমি চোখ খুলে,,,

(আমি)কি এটা?
(আপু) খুলে দেখ।

আমি খুলে দেখি ওয়াও মোবাইল এত সুন্দর?,,, মোবাইল আনতে গেলে কেন।।

(আপু) এমনি এনেছি,,,তোর পছন্দ হয় নাই,,

(আমি)হুম অনেক পছন্দ হয়েছে,,কিন্তু আমি তোমার মোবাইল নিবো না?

(((( একটু চাপা মারতে হবে,,আমি জানি শাকচুন্নি আমার মোবাইল ভেঙ্গেছে শাকচুন্নি ঐ টাকা দিয়ে কিনে দিবে,,, শাকচুন্নি আমার মোবাইল ভেঙ্গেছে
আমার টাকা দিয়ে মোবাইল কিনবো নাকি,,, পাগল আমি))))))

(আপু)কেন?
(আমি)কারণ আমার ব্যবহারের জিনিস আমার টাকা দিয়ে কিনি, তুমি আমার মোবাইল ভেঙ্গেছো,,,, এজন্য আমাকে দিচ্ছো।

(আপু)আমি রাগে মাথায় তোর মোবাইল ভেঙ্গেছি,,,আবার কিনে দিচ্ছি তাতে সমস্যা কি?

(আমি)না আমার মোবাইল আমি কিনে নিবো,,তোমার মোবাইল নিবো না আমি)

(আপু) পিচ্চি ছেলে এখন কিন্তু বেশি করছিস,,, নিবি না তো তুই আমার মোবাইল।
(আমি)না?
(আপু)তাহলে মোবাইলটা আমার হাতে দে?
(আমি)কেনো তোমার হাতে দিলে কি করবা?
(আপু)তোর মোবাইলটার মত এই মোবাইলটা ও আছার মেরে ভেঙ্গে ফেলবো।।

★শাকচুন্নির কথায় কথায় এত রাগ করে কেনো,,, মেয়ে মানুষের এত রাগ থাকে,,,, শাকচুন্নি কে দিয়ে বিশ্বাস নাই সত্যি সত্যি ভেঙ্গে ফেলতে পারে,,আমি মোবাইলটা তারাতারি পকেটে ভরে ফেললাম।

★তা দেখে আপু হাসতে শুরু করলো,,,আমি আপু দিকে তাকিয়ে সেই হাসি যে মোনালিসাকে ও হার মানাই,,, হাসি থেকে যেন মুক্তার দানা ছড়িয়ে পড়ছে,,,আপু হাসত থাকুক,, আর আমি দেখতে থাকি?

হঠাৎ করে আপু আমার দিকে খেয়াল করল হাসি বন্ধ করে দিয়েছে।

(আপু)এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন,,,
(আমি)তুমি হাসতে থাক না,আমি তোমাকে দেখতে থাকি,,,তোমার হাসি দেখলে দুনিয়ার সব কিছু ভুলে যাই,,, মন চাই সারাক্ষণ তোমার দিকে তাকিয়ে থাকি,, অপরূপ এক মায়াময় হাসি তোমার,,,

(আপু) লুচ্চা ছেলে চুপ কর,,, তোর কোন লজ্জা শরম নাই,,,আমার কিন্তু লজ্জা করছে?

(আমি)আ হা লজ্জা পাওয়ার কি আছে আর একটু হাসো না?
(আপু) এখন কিন্তু তোকে সত্যি সত্যি থাপ্পর দিব,,, শয়তান ছেলে,,,

আমি থাপ্পড় এর ভয়ে আর কিছু বললাম না,,, কিছুক্ষণ পরে আপু বলতে লাগলো।
(আপু)শুন কালকে বাড়িতে যাবো না এর পরের দিন বাড়িতে যাবো?

(আমি)আরে না না কালকে সকালেই বাড়িতে যেতে হবে জরুরী কাজ আছে।।
(আপু)তো কিসের জরুরী কাজ,,তোর তো কলেজ ছাড়া আর কোন কাজ নাই?

(আমি)আরে দুদিন পরে রিয়ার জন্মদিন,,
ওর জন্মদিনে যদি না থাকি তাহলে রিয়া অনেক কষ্ট পাবে,,,তা ছাড়া আর ৫ দিন পরে তোমার জন্মদিন,,, খামাখা কেনো আরো এক দিন এখানে থাকবো?

★ আমি আপু দিকে তাকিয়ে দেখি রিয়ার কথা শুনে মুখ কালো করে ফেলেছে?

(আমি)কি হল হঠাৎ করে মুখ কালো হয়ে গেল কেন?
(আপু)এমনি?
আমি বুঝতে পেরেছি রিয়ার কথা শুনে মুখ কালো করে ফেলেছে?

(আমি)শুনো রিয়া আমার বেস্ট ফ্রেন্ড,, ছোট থেকে রিয়া আর আমি এক সাথে বড় হয়েছি,, খেলাধুলা ফাইজলামি আড্ডাবাজি স্কুল কলেজ ভার্সিটি সবই ওর সাথে করেছি,,, ওর প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে ওকে আমি সাহায্য করেছি,,,,,, ও আমার প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে আমাকে সাহায্য করেছে,,, ওকে আমি সব সময় বন্ধু বন্ধু ঐ ভাবি,, বন্ধুর বাহিরে কখনো ভাবিনি,,, ও জাস্ট আমার বন্ধু এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমার বন্ধু হয়ে থাকবে ছোট কালের বন্ধুকে কখনো ভুলা যায়না,,,তুমি আমাদের এই বন্ধুত্বকে অন্য চোখে দেখো না,, আমরা বন্ধু আছি বন্ধু ওই থাকবো,, বিশ্বাস রাখো আমার ওপর।

(আপু) আমি কি তোকে কিছু বলেছি।

(আমি) তাহলে হঠাৎ করে মুখ কালো করে ফেলেছো কেন,, তুমি জানো তুমি মুখ কালো করলে কতটা বিশ্রী লাগে। এখন একটু হাসো।।।

(আপু) হাসতে পারবো না।
(আমি)কেনো,,, তুমি জানো তুমি হাসলে
তোমাকে কতটা সুন্দর লাগে,,, তুমি যখন হাসো তোমার বাম গালে যখন টোল পড়ে আমার তখন কি করতে মনে চায় জানো,,, লবণ মরিচ এনে তোমার গালের টোল পড়া জায়গায় রেখে বড়ই খেতে,,,হিহিহিহি?

(আপু) বদমাশ ছেলে কি বললি তুই,, আজকে তোরে আমি খাইছি,, আমার গালে লবন মরিচ রেখে তুই বড়ই খাবি,,,

((আমার কলার জোরে চেপে ধরেছে??)))

((আমি))আরে কি করছ ছাড়ো আমাকে এভাবে ধরেছো কেন,,,,

(আপু) না ছাড়বো না আজকা তোকে মেরেই ফেলবো?

(আমি) আচ্ছা ঠিক আছে আর কখনো এরকম বলবো না,সরি সরি,,,
আসলে তুমি
হাসলে পৃথিবীর সবচেয়ে মায়াময় সুন্দরী লাগে,,, তুমি যখন হাসো তোমার গালে যখন টুল পড়ে,,তখন যদি স্বর্গের কোনো অপ্সরী দেখে তাহলে নিশ্চিত লজ্জায় পড়ে যাবে,, কারণ তোমার হাসির সৌন্দর্য কাছে স্বর্গের অপ্সরী কেও হার মানাতে হবে,,,,তুমি যখন হাসো তোমার ঠোঁট দুটো একটু বাঁকা হয় তখন তোমার গোলাপী ঠোটের নিচের তিলটা তোমার হাসির উজ্জ্বলতা আরো কয়েকশো গুনে বাড়িয়ে দেই?

(আপু) লুচ্চা ছেলে তুই এখনি আমার সাথে ফাইজলামি করবি,,, আবার এখনি আমাকে লজ্জায় ফেলে দিবি,,, তুই যা এখন এখান থেকে,,

(আমি) আমি যাব কেন এ রুমে তো আমি থাকি,,,

ও তাই তো আপু লজ্জা পেয়ে দৌড়ে চলে গেলে।

আমি খাটে বসে পকেট থেকে তাড়াতাড়ি মোবাইলটা বের করলাম,, শাকচুন্নি কি মোবাইল এনেছে,, বাহ খুব সুন্দর মোবাইল তো,,, স্যামসাং নোট,, শাকচুন্নি কত টাকা দিয়ে এনেছে এটা,, শাকচুন্নির পছন্দ আছে বলতে হবে।। ভালো হইছে আমার মোবাইলটা ভেঙ্গেছে,,, এখন নতুন মোবাইল পেয়েছি,,, মোবাইলটা অন করে দেখি,, হায় হায় প্রজেক্টর মোবাইল,,, সিনামার পর্দার মতো দেওয়ালে গান দেখা যায়,,, শাকচুন্নি এটা কত টাকা দিয়ে এনেছে,,,মনে হয় ১৮ ১৯ হাজার টাকার মত হবে,,, শাকচুন্নি এত টাকা কোথায় পেয়েছে,,, আমি আস্তা মারা একটা গাধা ,,, শাকচুন্নির বাপের টাকা অভাব আছে নাকি,, একমাত্র কোটিপতি বাবার মেয়ে,,
কোনমতে যদি আমার বউ হয়ে যায়,,, তাহলে রাজ্য সহ রানী আমার,,, এখন তো শুধু মোবাইল দিয়েছে,,, দুদিন পরে বলব শাকচুন্নি কে বাইক দিতে,,, আমার বাইক টা পুরান হয়ে গিয়েছে,, পালসার বাইক আর ভালো লাগে না,,, আরোওয়ান ফাইভ নিবো নতুন মডেলের,,, শাকচুন্নি কে তার আগেই হাতের মুঠোয় আনতে হবে। শাকচুন্নি তো আমার সাথে আঠার মত লেগে আছে, তার হাবভাবে বুঝতে পেরেছি আমাকে অসম্ভব ভালোবাসে,, প্রথম প্রেম মেয়েরা কখনো ভুলতে পারে না,, শাকচুন্নি যদি আমাকে ভালবেসে থাকে,,,তাহলে আমাকে ভুলতে পারবে না,,, আমারও প্রথম প্রেম,, তাতে সমস্যা নাই,,,, গুন্ডি বড় আপুর,,, নরম দিল টাই আঘাত দিয়েই সব নিয়ে নিবো,,, ?

সিমে ৫ টাকা আছে,, ডাটা ও চালু করতে পারবো না? কারো সাথে চ্যাটও করতে পারবো না,,,, নতুন মোবাইল একটু ঘাটাঘাটি করে,,, তারপর বালিশের নিচে রেখে ঘুমিয়ে পড়লাম,,,, কিন্তু শালার অর্ধেক রাত জাগা চোখ,,,, এত সকালে ঘুম আসবে না,,,, কিছুক্ষন এপাশ ওপাশ করলাম,,,, মোটেও ঘুম আসছে না,,, শুধু শুধু শুয়ে থাকা আর পিটটাকে অযথা বিছানায় মরানো কোন মানে হয় না।

উঠে একটা কফি এনে টিভি চালু করে টিভি দেখতে লাগলাম,,,, ইন্ডিয়ান একটা চ্যালেনে ইমরান হাশমি ছবি চলতেছে,,, ইমরান হাশমি একটু রোমান্টিক বেশি,,, নায়িকা কে কথায় কথায় কিস করে,,,, এসব ফিলিম দেখতে আমার কাছে বেস্ট ইন্টারেস্টিং লাগে।

★ ফিলিম দেখতে দেখতে রাত বারোটা বেজে গেল,,, বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম,, কিন্তু শালার ঘুম মনে হয় আজকে কোথাও হারিয়ে গিয়েছে,,, কি করা যায় শাকচুন্নি কে ফোন দিয়ে এনে গল্প করা যায়,,,, শাকচুন্নি কি ঘুমিয়ে গিয়েছে,,,,

মোবাইলটা এনে শাকচুন্নি কে ফোন দিলাম,,,হায় হায় শাকচুন্নির ফোন ওয়েটিংয়ে,,,, শাকচুন্নি তো রাত 11 টার পরেই ঘুমিয়ে যাই,,, আজকে কার সাথে কথা বলছে,,,, হয়তো কোন বন্ধু বান্ধব ফোন দিয়েছে,,,, আরো 10 মিনিট অপেক্ষা করলাম,,, আবার ফোন দিলাম,,, হায় হায় এবার ওয়েটিংয়ে,,,, মনের ছোট্ট হৃদপিণ্ডটা চিৎ করে উঠলো।। গুন্ডি শাকচুন্নি মেয়েকে কারো সাথে প্রেম করে নাকি,, তানাহলে হলে এতক্ষন কার সাথে কথা বলে,,, আরও 10-15 মিনিট অপেক্ষা করলাম,,, আবার ফোন দিলাম,,,, এবার ওয়েটিং এ,,,,, বুকের বাম পাশটা চিন চিন ব্যাথা শুরু করেছে,,,, শাকচুন্নি তাহলে আমার সাথে মিছা মিছা এগুলা করে।।।

রেগে আস্তে আস্তে গেলাম শাকচুন্নির রুমে,,, জানালার পাশে দাঁড়িয়ে জালানার পর্দাটা অল্প সরিয়েছি,,, শাকচুন্নি একটা বালিশ মাথার নিচে দিয়ে,,, আর একটা বালিশ জড়িয়ে ধরে কার সাথে জানি কথা বলছে,,,,,

তাহলে সত্যি সত্যি শাকচুন্নি অন্য কোন ছেলের সাথে প্রেম করে,,, তাহলে আমার সাথে এগুলো করে কেন,,,, নাকি ছোট ভাই হিসাবে আমার সাথে এরকম ব্যবহার করে? আমার তো মনে হয় না,,,,, শাকচুন্নির হাব ভাবে বুঝি সে আমাকে অসম্ভব ভালোবাসে।।। মাথার মধ্যে রাগ উঠে গেলো মন চাচ্ছে দরজাটা মেলে শাকচুন্নির গালে 10-12 তার থাপ্পড় দেয়,,, তারপর শাকচুন্নির মোবাইলটা আছাড় মেরে ভেঙ্গে ফেলি।।। কিন্তু আমার তো শাকচুন্নির মত সাহস নাই।।।

কি করবো আমি,,,, দিশেহারা হয়ে গেছি,,, রাগে সারা শরীর জ্বলতেছে,,,, শাকচুন্নি আমার সাথে মিছা মিছা অভিনয় করল।

চলে আসলাম রুমে কিন্তু দু চোখের পাতা এক করতে পারছি না,,,, নিদ্রাহীন রজনী কেটে গেল,,,, ভোরের সিক্ত সকাল শুরু হতে শুরু করল,,,,, তখন আমার দু চোখে তন্দ্রা এসে জমা হয়েছে,,,, ঘুমিয়ে পড়লাম সবকিছু ভুলে,,,,

সকাল ৯.৩০ আপু ডাকাডাকিতে ঘুম ভাঙলো,,,, আর কত ঘুমাবি বেলা কয়টা বাজে জানিস,,,, বাড়িতে যাবি কখন,,,, তাড়াতাড়ি ওঠ?

আমি উঠে বসলাম,,,, আপুকে দেখতে মানে শাকচুন্নি কে দেখতে সকাল সকাল খুব মায়াবী লাগছে,,,, হঠাৎ করে রাতের কথা মনে হয়ে গেল,,,, স্টপ হয়ে গেলাম আমি,,,, শাকচুন্নির সাথে কোন কথা না বলে,,, সোজা ওয়াশ রুমে চলে গেলাম,,,,
শাকচুন্নি আমার দিকে তাকিয়ে ব্যাকা ছ্যাকা খেয়ে গেল।

ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে দেখি শাকচুন্নি রুমে বসে আছে,,, আমি আর কোন কথা বললাম না,,,, তাকে এড়িয়ে সোজা খানা টেবিলে চলে আসলাম।

খানার টেবিলেও কোন কথা বললাম না?
আপু অবাক দৃষ্টি নিয়ে খাবার টেবিলে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল,,, আমি তার দিকে তাকাই নি,,,,

কিছুক্ষণ পরে কাপড় চোপড় পড়ে রেডি হয়ে,,,, সবার কাছ থেকে বিদায় নিলাম,,, শাকচুন্নি মানে আপুও রেডি হয়ে সবার কাছ থেকে বিদায় নিল,,, সবাই এগিয়ে দেওয়ার জন্য বাসার গেয়েট পর্যন্ত এলো?

আপু এসে আমার বাইকের পেছনে বসবে,,, আমি বাধা দিলাম,,, তুমি আমার বাইক দিয়ে যেতে পারবে না।

(আপু) কি বলছিস তুই?

(আমি)হ্যা সত্যি বলছি?

(আপু)এই পিচ্চি ছেলে আমি আবার কি করেছি,, আমার সাথে সকাল থেকে একটা কথাও বলিস নি?

(আমি) তুমি কিছু করোনি,, আমি যা বলছি তাই,,, তুমি আমার বাইক দিয়ে যেতে পারবে না,,,, বাস বা ট্যাক্সিয়ে তুমি চলে যাও।।।

(আপু) এই বদমাইশ ছেলে আমি এমন কী করেছি যে তোর বাইক দিয়ে যেতে পারবো না,,,

(আমি) আমি বললাম না তুমি কিছু করোনি,,, আমি তোমাকে নিয়েই যেতে পারবো না ব্যাস,,, তুমি অন্য কিছু দিয়ে চলে যাও।

(আপু) এই পোসকা ছেলে আমার কিন্তু এখন রাগ উঠে যাচ্ছে,,,, সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে,,,, তুই এমন করছিস কেন।

(আমি) আমার সাথে রাগ দেখাও কেন,,, রাতে যার সাথে কথা বলছো? তাকে বল এসে নিয়ে যেতে।

(আপু) আমি রাতে কার সাথে কথা বললাম।

(আমি) কেন তুমি জানো না,,, রাত বারোটার সময় কার সাথে মোবাইলের কচুর কচুর ফুসুর ফুসুর কর,,,,, তুমি মনে করেছো আমি জানিনা,,,, আমি রাতে তোমাকে কয়েকবার ফোন দিয়েছি,,, তোমার ফোন ওয়েটিং এ,,,, তারপর গেলাম তোমার রুমের জানালায়,,, দেখি তুমি শুয়ে শুয়ে কথা বলছো?
(আপু) বদমাশ ছেলে তুই জানিস আমি কার সাথে কথা বলছিলাম?

(আমি) আমি জানি তো কার সাথে কথা বলছিলা,,,,, এর জন্যই তো বললাম তার সাথে যেতে।

(আপু) লুচ্চা ছেলে আমার কিন্তু এখন পুরোপুরি রাগ উঠে গিয়েছে,,,, তোকে এখন কইটা থাপ্পর দিতাম আমার জানা ছিল না। কিন্তু অনেক কষ্টে রাগ কে কন্ট্রোল করে আছি এখানে সবাই দাঁড়িয়ে আছে বলে?

(আমি) আমার সাথে তো রাগ দেখাবাই,,,, তোমার রাগকে আমি আর ভয় পাইনা।

(আপু)আমি কিন্তু এখন সত্যি সত্যি রাগ কন্ট্রোল করতে পারছি না,, কুত্তা বান্দর বিলাই হনুমান,,, লাল বান্দর লাল কুত্তা,,, তুই জানিস আমি তার সাথে কথা বলছিলাম,,,আমি আব্বুর সাথে কথা বলছিলাম,, অনেকদিন পরে আব্বু ফোন দিয়েছে,,,, তাই প্রায় এক ঘন্টার মতো কথা বললাম,,,, আব্বু বলেছে,,,, তাকে সরকারিভাবে ৬ মাসের ছুটি দিচ্ছে,,,তাই আমার জন্মদিনের আগে দেশে আসবে,,,,,আর তোকে ছারা মোবাইলে কখনো কোন ছেলের সাথে এক মিনিটের জন্য ও কথা বলিনি।

(আমি) সত্যি বলছো তুমি।
(আপু)তোর সত্যির গুষ্টি কিলাই?
(আমি) আরে রেগে যাচ্ছ কেন,,, উঠো তাড়াতাড়ি উঠ,,,সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে?

আপু রাগে কটর মটর করতে করতে আমার বাইকের পিছনে উঠে বলতে শুরু করল,,,,চালা সামনে যেয়ে নেই,,,তার পর তোকে আজকে আমি দেখবো থাপ্পর কাহাকে বলে,,,, কত প্রকার,, এবং কি কি।

আমি থাপ্পড় এর ভয়ে আর কোন কথা বলছি না,,,, আমি বুঝতে পেরেছি আমার বড় ধরনের ভুল হয়েছে,,,,আপু তাহল রাতে তার আব্বুর সাথে কথা বলছিল।
আর আমি খামাকা সারারাত না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিলাম,,,,

এখন সামনে গেলে আমাকে কি করে কে জানে,,,, কিন্তু শাকচুন্নিকে আমাকে থাপ্পর দেওয়ার সুযোগ দেওয়া যাবে না,,,, আমি গাড়ি হাই স্পিডে টানতে হবে,,, তাহলে আপু আমাকে থাপ্পর দেওয়ার চান্স পাবে না,,,, উল্ট আমাকে জড়িয়ে ধরবে।

আমি বাইক হাই স্পিডে টানতে শুরু করলাম,,, আপু দু হাতে আমাকে অল্প জড়িয়ে ধরে আছে।।

আধাঘন্টা বাইক চলার পর হঠাৎ করে আপু বলল,,, এই বাইক থামা?

(আমি) বাইক থামিয়ে কি করবে।

(আপু) আমি বলছি তোকে থামাতে,,, তুই বাইক থামা।

আমি বুঝতে পেরেছি ””শাকচুন্নি কি জন্য বলছে আমাকে বাইক থামানোর জন্য।
হয়তো আমাকে থাপ্পর দেওয়ার ইচ্ছা হইছে,,,, আমি বাইক থামালাম,,, ভয়ে হাত পা কাপতেছে,,,, রাক্ষসী- ডাইনি মেয়ে যে জোরে থাপ্পর মারে,,, আমি চোখ বন্ধ করে গালে হাত দিয়ে বাইকে বসে আছি,,,,

5 মিনিট হয়ে গেল আমার চোখ বন্ধু,,,, আপুর কোন রেসপন্স পাচ্ছিনা,,, চোখ খুলে তাকালাম,,, আপুকে কোথাও দেখতে পাচ্ছি না,,,, শাকচুন্নি আবার গেলে কোথায়,,, এই শাকচুন্নি কে নিয়ে তো মহা টেনশনে আছি,,, শাকচুন্নি আমাকে থাপ্পড় না দিয়ে কোথায় চলে গেল,,,
আমি বাইক থেকে নেমে খুঁজতে যাবো,,,
তখন দেখি আপু একটা?

(((((((((চলবে))))))))))


Tags: , , , , , , , , ,

Comments are closed here.