সিনিয়র আপু যখন বউ (পর্ব-১৪)

December 19, 2020 | By Admin | Filed in: চটি কাব্য, সিনিয়র আপু যখন বউ.

সিনিয়র আপু যখন বউ (পর্ব-১৩)

View all stories in series

★তুমি কিচ্ছু করবেনা আমি আসছি,,,, হায় আল্লাহ এখন গেলে শাকচুন্নি আবার আমাকে কি করে কে জানে,,, আই কিল্লাই রাগের মাথায় ফারিয়াকে বাইকের পিছনে তুললাম? গুন্ডি মেয়ে এখন গেলে আমাকে মেরেই ফেলবে??
★ আমি বাইক নিয়ে বাসার দিকে রওয়ানা দিলাম বাসার গেটের কাছে এসে ফারিয়াকে বললাম ফারিয়া তারাতাড়ি বাইক থেকে নামো””আপু দেখার আগে? (ফারিয়া)) আপু দেখলে কি হবে ভাইয়া? (আমি)ও তুই বুঝবিনা,, শাকচুন্নি আমাকে মেরেই ফেলবে?
★আমি আস্তে আস্তে আমার রুমের দিকে পা বাড়ালাম,, রুমের কাছে গিয়ে দেখি আপু আমার খাটে বসে আছে,, চোখ গুলো ফুলে আছে চেহারায় কমট রাগ? আমি ভয়ে ভয়ে আস্তে আস্তে আপুর সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম,,, দাঁড়াতে দেরী আচমকা আমার দুই গালে ঠাস,সসসস ঠাস,সসসসস,,, আমি গালে হাত দিয়ে কেঁদে ফেললাম তুমি আমাকে সব সময় এভাবে মার কেন কথা নাই বার্তা নাই খালি থাপ্পর মারো? আমি ব্যথা পাই না বুঝি,,, এত জোরে কেউই থাপ্পর মারে? (আপু) তোর তো সাহস কম না তুই আমাকে দেখিয়ে ফারিয়াকে বাইকের পিছনে বসিয়ে ঘুরতে নিয়ে যাস? ((আপু))
★ তাতে তোমার কি তোমার লাগে কেন,,, আমি আমার বাইকের পিছনে যেকোনো মাইয়া কে নিয়ে ঘুরবো,,তাই বলে তুমি আমাকে কথা নাই বার্তা নাই এত জোরে থাপ্পর মারবা (রেগে)???
★আমি রেগে রুম থেকে বাহির হয়ে যাব দরজার কাছে যেতেই আমার শার্টের কলার ধরে ফেলেছে,,,, আমাকে টেনে খাটের কাছে এনে দাঁড় করালো?
(আমি) কি হলো এভাবে আমাকে টেনে ধরেছে কেন? ছাড়ো আমাকে।। তোমার সাথে আমার কোন কথা নেই? আপু কেঁদে দিল””হায় হায় কাঁদছো কেন আমাকে মারবা আবার নিজেই কাঁদবা???
(আপু) তুই আমাকে কাঁদিয়ে মজা পায হেহ?
(আমি) আমি তোমাকে আবার কখন কাঁদালাম?
(আপু)তা না হলে তুই আমার সাথে এরকম ব্যবহার করছিস কেন???(((কেদে কেঁদে)))
(আমি) কিরকম ব্যবহার করলাম?? (আমি) আমি তোকে নিষেধ করার শর্তে ও তুই আমাকে দেখিয়ে ফারিয়াকে বাইকের পিছনে বসিয়ে চলে গেলি,,, আমি কতবার ফোন দিচ্ছি তুই একটা ফোনও রিসিভ করিস না,,, আমার দিকে তাকাস না,, আমার সাথে কথা বলিস না? আমাকে ইগনোর করে চলছিস? তুই জানিস না তোর সাথে কথা না বলে আমি থাকতে পারিনা,,,, তোর সাথে কাউকে দেখলে আমি সহ্য করতে পারিনা? ((((((হায় হায় রাগের মাথায় ইমোনেশনাল হয়ে সব সত্য কথা বলে ফেলেছে,,, তার মানে শাকচুন্নি আমাকে পছন্দ করে,,, কিন্তু শাকচুন্নি কে তো আমি এত সহজে ছাড়বো না,,, আমাকে কথায় কথায় থাপ্পর মারা,, তার প্রতিশোধ নিয়ে তারপর?))) (আমি) সব দোষ আমার হ্যাঁ তুমি অন্য ছেলের সাথে দাঁড়িয়ে হেসে হেসে কথা বললে তোমার কোন দোষ নেই?? ((আপু)) তুই ভুল বুঝছিস,,ঐ ছেলেটা কে আমি চিনি ঐ না,,, সকাল বেলা আমি ফুল গাছে পানি দিচ্ছিলাম,,, হঠাৎ করে ছেলেটা এসে আমাকে বলল আমি এই বাড়ির কে ,, আমি বললাম এটা আমার নানুর বাড়ি,এর বেশি আর কোন কথা হয় নায়,,,এই দুটা কথা বলার কারণে,, তুই আমার সাথ এরকম ব্যবহার করা শুরু করেছিস,,,আমি জানলে কখনো ঐ ছেলের সাথে কথা বলতাম ??? (আমি) আচ্ছা ঠিক আছে আমি বুঝতে পেরেছি,, আমি সরি। (আপু)…….. (আমি) এখন একটা কথা বলব(((( আবেগ এবং সাহস নিয়ে))))) (আপু) কি? (আমি) তুমি কি আমাকে পছন্দ করো? (আপু) আমি বলতে পারব না((((( লজ্জা পেয়ে)))) (আমি) পছন্দ করলে বলতে পারবে না কেন,, আচ্ছা না বললে নাই পরে কিন্তু আফসোস করবা? (আপু) কেন?? (আমি) কারণ কালকে কলেজে গেলে একটা মেয়ে আমাকে প্রপোজ করবে,, আমি ভাবছি প্রপোজাল টা একসেপ্ট করে নিব,,((( একটু বানিয়ে মিথ্যা বললাম আর কি))))) (আপু)কিই ইইইইই. তোর ঘাড়ে আবার কোন শাকচুন্নি চাপবে,, ঐ শাকচুন্নি কে আমি জ্যান্ত মাটি দিয়ে ফেলবো,, আর শালা তুই যদি ভুলেও ওই মাইয়া দিকে তাকাস,, তাহলে তোর চোখ দুটো তুলে শুটকি করে বাজারে বিক্রির জন্য পাঠিয়ে দিব?? ((((হঠাৎ রেগে গেল)))) ((((আমার ঘাড়ে আবার কোন শাকচুন্নি চাপবে তুই ঐ তো সবচেয়ে বড় শাকচুন্নি গণ্ডি একটা,, কিভাবে আমাকে ওয়ার্নিং দেয়,, আমার চোখ তুলে ফেলবে??)))) (আমি) কি আমাকে কি বলো এগুলা শালা শালি,,, আমি কি তোমার শালা হয়?? (আপু)তা নাহলে তুই ঐ মাইয়ার কথা বলিস কেন??? (আমি) আসলে ওই মাইয়া টা খুব সুন্দর তো,,, যেন কিউটের ডিব্বা,, আমিও তাকে খুব লাইক করি খুব ভালো লাগে ওকে?? (আপু) বদমাশ ছেলে তুই আমার সামনে ওই মাইয়ার রূপের প্রশংসা করিস,,, আজকে তোকে আমি খাইছি? (((একথা বলে আমার শার্টের কলার জোরে চেপে ধরেছে)))) (আমি) আরে কি করছো এভাবে কেউ ধরে,, আমি ছোট্ট মানুষ,, আমার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে তো ? (আপু) তুই ছোট্ট মানুষ শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে,, হক একবারে মেরে ফেলবো,, আমার সামনে ওই মেয়ের প্রশংসা করিছ? আমি ছোটার জন্য জোর জবস্তি শুরু করে দিয়েছি,, কিন্তু গুন্ডি মেয়ের শরীরে প্রচুর শক্তি,, আমি কি পারি না কি গুন্ডি বড় আপুর সাথে,,, এক পর্যায়ে আমাকে হাটের উপড়ে ফেলে দিয়েছে,, আমিও কম কিসের আমিও তাকে আমার উপরে ফেলে দিয়েছি?? আপু আমার ওপরে লেপটে আছে,, কি রকম একটা অনুভূতি লাগছে,, নিজের অস্তিত্ব নিজে টের পাচ্ছি না,, কিছুক্ষণের জন্য কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছি? আপু দুহাতে আমার গলা চেপে ধরে আছে,, আরে এভাবে ধরেছো আমি শ্বাস নিতে পারছি না তো। মারা যাবো তো আমি,,, (আপু) তোর শ্বাস নিতে হবে না,, তুই বল আর বলবি নাকি ওই মেয়ের কথা,,, (আমি) বলবো 100 বার বলবো,,,, তুমি জানো ওই মেয়ে কত ভালো,, ঐ মেয়ে আমাকে কখনও মারবে না,, খুব আদর করবে,,, আর তুমি আমাকে কথাই কথাই মারো,,, এখন ঐ মেয়ের কাছে থাকলে কি করতো জানো,,, আমার দুগালে দুটা পাপ্পি দিতো,,, (আপু) শয়তান ছেলে লুচ্চা ছেলে আর এক মেয়ের পাপ্পি খেতে ভালো লাগে,,,, (আমি) লাগবে না কেন তুমি তো আমাকে পাপ্পি দাও না শুধু মারো??? (আপু) আচ্ছা ঠিক আছে দিচ্ছি,, কিন্তু ওই মাইয়ার দিকে তাকাতে পারবিনা,, শুধু ওই মাইয়া কেন কোন মাইয়্যার দিকেই তাকাতে পারবিনা??? (আমি) আচ্ছা ঠিক আছে তাকাবো না,, এ কথা বলতে দেরি আপু চোখ বন্ধ করে আমার এক গালে উম্মাহমমমমমমা? ((আমি ঘুরের মধ্যে আছি,, কি বলছি না বলছি কিছু ঐ বুঝতে পারছি না?)))) (আমি) এক গালে কেন তুমি তো আমাকে দু গালে থাপ্পড় দিয়েছো,, (আপু) আমার কিন্তু লজ্জা করছে? (আমি) তাহলে এখন আমি ফারিয়ার কাছে চলে যাবো? আপু আমার আরেক গালে উম্মাহমমমমমমা? আর ফারিয়ার কথা বলবি না কিন্তু তাহলে খেয়ে ফেলবো? ★ আপু আমার উপর থেকে উঠে চলে যাচ্ছে,, আমি তার হাত ধরে ফেললাম?? (আপু) হাত ধরেছিস কেন? (আমি) আমার পাওনা এখনো বাকি আছে? (আপু) লুচ্চা ছেলে হাত ছাড় কেউ দেখে ফেলবে,,, (আমি) দেখলে দেখুক আমার পাওনা দেও আগে? (আপু) কিসের পাওনা? (আমি) কালকে রাতে জানি আমাকে দুটা থাপ্পড় দিয়েছো তার বদলে এখন আরও দুটো পাপ্পি দিয়ে যাও? (আপু) লুচ্চা ছেলে এখন কিন্তু আমার সত্যি সত্যি লজ্জা করছে,,হাত ছাড় বলছি? (আমি) দিবা না তো আচ্ছা ঠিক আছে যাও গা সমস্যা নাইক্কা,,, আমি হাত ছেড়ে দিয়েছি অভিমান করে খাটের উপরে বসে আছি,, হঠাৎ করে আচমকা আপু এসে আমার দু গালে দুটা পাপ্পি দিয়ে,, দৌড়ে চলে গেল,,, আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম,,, আনন্দে আমি কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না,, আপু আমাকে সত্যি সত্যি ভালোবাসে,,, আমার এতদিনের স্বপ্ন পূরণ হবে,,, বড় আপুর সাথে প্রেম হবে,,, আমি ভাবতেই পারছি না,,তাহলে আপুর সেই পিচ্চি বয়ফ্রেন্ড টা আমি,, যার নামের প্রথম অক্ষর গুলো F A F আমার বন্ধু শামীম ঠিক বলেছে? আমি এখন কি করবো,হাত পা ছেড়ে দিয়ে লম্বা হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লাম,,, ★ কিন্তু শাকচুন্নি আমাকে প্রপোজ করো না কেন,,,, নাকি আমি করব সে আশায় বসে আছে,,, কিন্তু আমি তো শাকচুন্নি কে প্রপোজ করব না,,, শাকচুন্নি উল্টা আমাকে প্রপোজ করতে হবে,,, • আমি তো আর ভাবতে পারছি,, এখান থেকে গুন্ডি মেয়ে যদি আমাকে একটা থাপ্পর দেয়,, তাহলে তার বদলে একটা পাপ্পি এই আনন্দের মাঝে বসে থাকলে চলবে না,, আনন্দটাকে উদযাপন করতে হবে,, রুমের ভিতর ফুল সাউন্ড দিয়ে গান লাগিয়ে দিলাম,, তারপর শুরু করলাম মাইকেল জ্যাকসনের ডান্স,,, হঠাৎ করে মনটা খারাপ হয়ে গেল,,,ইশিতা আপুর আমার বড়,,, আমাদের এই ভালোবাসা কি আমাদের ফ্যামিলি মেনে নিবে,,, লোকে কি বলবে,,, যে যায়ই বলুক,, লোকের কথায় কিছু যায় আসে না,, ফ্যামিলি মেম্বার মেনে নিলেই চলবে? কিন্তু ফ্যামিলি মেম্বারের সবাই কি মেনে নিবে? আম্মুকে বুঝিয়ে বললে হয়তো মেনে নিতে পারে,,, মাগার বাপ লাখের ভিতরে একজন,,, যে রাগি মানুষ হয়তো সেই গাদ্দার হয়ে আমাদের প্রেমে বাধা দিতে পারে,,, সমস্যা নাইক্কা,, আম্মুকে বুঝিয়ে আব্বুর সাথে কথা দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দিব,, তাদের মধ্যে প্রচুর ঝগড়া হবে,, শেষ পর্যন্ত আম্মুরই বিজয় হবে,,, আম্মুর বিজয় মানে, আমার বিজয়ী,, আম্মু আমাকে খুব ভালোবাসে,,, একমাত্র ছেলের কষ্ট সইতে পারেনা? আমি আবার ও ড্যান্স শুরু করলাম,, হঠাৎ করে রুমে ফারিয়ার আগমন,, আমি গান বন্ধ করে দিলাম,,,, ফারিয়া) ভাইয়া তোমাকে দেখছি খুব আনন্দে আছো,,, (আমি)হ্যা আজকে আমি আনন্দে আছি? (ফারিয়া)তা সে আনন্দের কারণ কি,,, (আমি)ও তুই বুঝবিনা,,,এখন তুই বল আজ আমার কাছে কি চাস যা চাইবি তাই দিব? (ফারিয়া) আমার কিচ্ছু চাই না শুধু বিকেল বেলা আমাকে বাইকে করে ঘুরাতে নিয়ে যেতে হবে? (আমি) এটা কোন একটা চাওয়া হল,, আচ্ছা যা নিয়ে যাব,,, হঠাৎ করে মনে হল আনন্দের চোটে কি বলে ফেললাম,, ওকে যদি বিকালে বাইকে করে ঘুরতে নিয়ে যায়,,আর আপু যদি দেখে ফেলে তাহলে গুন্ডি মেয়ে আমাকে একবারে মেরেই ফেলবে””না না বাইকে করে ওকে ঘুরতে নেয়া যাবেনা?তা নাহলে আমাকে পাপ্পির বদলে,, থাপড়ায়া গাল দুটো টমেটোর মত লাল করে ফেলবে। (আমি)ফারিয়া? (ফারিয়া)হ্যাঁ ভাইয়া? (আমি)আমার বাইকে একটু সমস্যা,,বাইকে করে ঘুড়তে নিয়ে যেতে পারবোনা? (ফারিয়া)তাহলে সারা বিকাল হেঁটে হেঁটে ঘুরবো হাঁটার মজাই আলাদা? (আমি) এইটু গুড গার্লস হাঁটার মজা ও বোঝিস,,এখন যা ভাইয়ার একটু কাজ আছে? ★ফারিয়া চলে গেল আমি আবার ও গান চালো করে ড্যান্স শুরু করলাম, কিছুক্ষণ ডান্স করে তারপর ওয়াশ রুমে চলে গেলাম,,, ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করলাম,,, আজকে আর বাড়িতে যাব না,,, কালকে সকালে বাড়িতে যাব,,,তাই একটু ঘুমাতে চলে গেলাম? বিকাল ৪.০০টা কারো ফোনে ঘুম ভাঙলো,, স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে দেখি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড রিয়ার ফোন”” ফোনটা রিসিভ করলাম? (আমি)হ্যা রিয়া বল? (রিয়া)তুই কখন আসবি তোর না আজকে বিকালে আসার কথা ? (আমি)হ্যা আসার কথা ছিল,,, কিন্তু নানুর শরীরের অবস্থা বেশি ভালো না,,তাই আজকে আর আসবনা কালকে সকালে আসবো? (রিয়া) আচ্ছা ঠিক আছে তোর যখন খুশি তখন আসিস কিন্তু আমার জন্মদিনের আগে আসতে হবে,, (আমি) আমি যেখানেই থাকি তোর জন্মদিন এর আগে অবশ্যই চলে আসবো তুই কোন চিন্তা করবিনা? (আমি) রিয়া একটা কথা শোননা? (রিয়া)হ্যা বল? (আমি) না মানে আমাকে একজনে খুব ভালোবাসে রে? রিয়া যেন আকাশ থেকে পড়ল কি বলছিস তুই? (আমি)হ্যাঁ আমি সত্যি বলছি? (রিয়া)কে সে? (আমি)আছে কিন্তু একটা সমস্যা ও আছে? (রিয়া) কি সমস্যা আর কে সে? (আমি)না মানে ইয়ে আসলে? (রিয়া) আমি বুঝতে পেরেছি ইশিতা আপু) (আমি)হ্যাঁ? (রিয়া)তুই ও ইশিতা আপুকে ভালবাসিস? (রিয়া)হ্যা বাসি অনেক ভালবাসি? (রিয়া)তোকে না আগে জিজ্ঞাসা করেছি ইশিতা আপু সাথে তোর কিছু চলচে নাকি তুই বললি ইশিতা আপু তোর বড়,,তুই তাকে সম্মান করিস,,,, (আমি)হ্যা বলেছি সম্মান করি,,,আসলে আমি এত দিন বুঝিনি ইশিতা আপু কথায় কথায় থাপ্পড় মারার ভিতরে জানি প্রেম লুকিয়ে ছিল ,,, তার শাসনের ভিতরে প্রেম লুকিয়ে ছিল তা ঐ জানা ছিলনা,, আসলে আমিও কোন সময় কখন তাকে আমার মনের ভিতরে জায়গা দিয়ে ফেলেছি বলতে পারি না,,,, তার ঐ থাপ্পর,, শাসন কিয়ারন্যান্সিের প্রেমে পড়ে গেছি,,সে ও আমাকে খুব ভালবাসে আমি ও তাকে খুব ভালবাসি,,,, এখন চাইলেও তাকে ভুলতে পারব না”””এটা আমার প্রথম প্রেম। তুই তো জানিস আমি কখনো প্রেম করি নাই, একজন বড় আপুর সাথে প্রেম করবো বলে,,, এ কথা শোনার পর রিয়া স্টপ হয়ে গেল আর কোন কথা বলছে না আমি মনে করলাম লাইন বুঝি কেটে গেছে,, আমি মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখি লাইন আছে? (আমি)হ্যালো রিয়া কথা বলিস না কেন? রিয়া…….. (আমি)আরে কি হল,কথা বল? (রিয়া) কি বলবো,,, আচ্ছা ইশিতা আপু ত তোর বড় তোদের এই ভালবাসা তোদের ফ্যামিলি মেম্বার মেনে নেবে,,, সমাজ কি বলবে? (আমি) কেন মেনে নিবে না,, ভালোবাসা কখনো ছোট বড় যাচাই করে হয় না,, আর সমাজ কি বলবে সমাজ এর কথা আমি কান দেয়না,, আমি কষ্ট থাকলে সমাজ় এসে আমার কষ্ট ভুলিয়ে দিবে? আর আমার ফ্যামিলি মেম্বারকে বুঝিয়ে বিশেষ করে আম্মুকে বুঝিয়ে বললে অবশ্যই রাজি হবে আম্মু রাজি তো সবাই রাজি,,? ★ রিয়ার আর কোন কথা বলছে না,, আমি বুঝতে পেরেছি রিয়া কান্না করছে? (আমি) হ্যালো রিয়া কাঁদছিস কেন? (রিয়া)……….. (আমি) আরে পাগলি কাঁদছিস কেন কোন সমস্যা,, কেউই কিছু বলেছে? (রিয়া) না কেউই কিছু বলে নাই,, এমনি কাঁদছি? (আমি) পাগল একটা এমনি কখনো কেউ কাঁদে? (রিয়া)…………..? (রিয়া)😰 আচ্ছা একটা কথা বলি? (আমি) হঠাৎ করে তোর কন্ঠ এরকম হয়ে গেলে কেন। আর একটা কথা বলবি অনুমতি নেওয়ার কি আছে,, কি বলবি বল? (রিয়া) আচ্ছা তোর আর ইশিতা আপুর যদি বিয়ে হয়ে যায়,, তাহলে কি আমার সাথে আগের মত মিশবি,,, আগের মত আমাকে সময় দিবি,, আগের মত বাইকে করে ঘুরতে নিয়ে যাবি আমাকে ভুলে যাবি,,,,,,? ★ কি বলছিস তুই এগুলা,, তোকে আমি ভুলে যাবো,,, তোকে ভুলে গেলে তো নিজের সাথে বেইমানি করা হবে,, আমার স্কুল ঘন্ডি থেকে শুরু করে আজ ভার্সিটি পর্যন্ত এতটা সময় তোর সাথে আমার পথ চলা,, ,,যে তুই আমার বিপদে আপদে সব সময় ছায়ার মতো পাশে ছিলি,,, আর সেই তুকেই আমি ভুলে যাব বিয়ে করে,,,,, পাগল একটা,, একটা পুরুষ যেমন জীবনে চলতে গেলে একজন জীবনসঙ্গী প্রয়োজন, তার সাথে একজন ভালো বেস্ট ফ্রেন্ড এর প্রয়োজন,,,তুই কি জানিস না বন্ধু ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল,,, তুই আমার সেই রকম বন্ধু,, তোকে ছাড়া আমার জীবনটা সম্পূর্ণভাবে পূরণ না পাবে না? আর আমি এমন মেয়েকে বিয়ে করব না,,, যে আমার বন্ধুর সাথে চলতে দেবে না,,,, হোক সে ঈশিতা আপু বা অন্য কেউ,, এখন তোর সাথে আমি যেভাবে চলছি,,, বিয়ের পর ঠিক এভাবেই চলবো? রিয়া আমার কথা শুনে কাঁদছে,, কি হলো কাঁদছিস কেন,,, (রিয়া)…………? (আমি) আরে বাবা কি জন্য কাঁদছিস বলবি তো। (রিয়া)😰 না তেমন কিছু না, আমার মনে হয় আমার চোখ কিছু একটা পড়েছে,, আমি ওয়াশরুম থেকে একটু পানি দিয়ে আসি,, তোর সাথে পরে কথা বলব,,, রিয়া ফোনটা কেটে দিল,। আমি বুঝতে পেরেছি রিয়া কেন কাঁদছে,, ও আমাকে মনে মনে পছন্দ করে,,, কিন্তু আমি কি করবো,, আমি তো সব সময় ওকে বন্ধুর মতোই দেখি,, কখনো বন্ধুর বাহিরে দেখি নাই,,, বা মনের গভীরে নিয়ে ভাবি নাই,,, ভাববো কি করে,,ওতো সব সময় বন্ধু বন্ধুই ছিল,,,,, আসলে সবাইকে নিয়ে ভাবা যায় না,, একবার মন যাকে চয়েজ করে ফেলে,,, শুধু তাকে নিয়েই ভাবতে ইচ্ছে করে,, সবাইকে দেখলে মনের ভিতরে ঘন্টা বাড়ি দেয় না,, কিন্তু এমন একজন অবশ্যই আছে,, যাকে দেখলে মনের ভিতর ঘন্টা বারি দেয়,,, যার ছবি মনের গভীরের এঁকে ফেলেছি,,,,হোক তার সাথে কম দিনের পরিচয়? ইচ্ছে করলে সবাইকে নিয়েই ঘুমের ঘরে স্বপ্ন দেখা যায় না,, যার সাথে আপনার সারাদিন, চলাফেরা,, যার সাথে বহু দিনের পরিচয়,, ইচ্ছে করলে তাকে স্বপ্নে এনে স্বপ্ন দেখতে পারবেন না,,, যাকে আপনার মন চাইবে সে আপনা আপনিই স্বপ্নে চলে আসবে,,,, আসলে ভালোবাসাটা অনুভব করার জিনিস,,, যার সাথে মনের মিল হয়ে যায়, শুধু তার ভালোবাসাটাই অনুভব করা যায়? ভালোবাসাটা এমন একটা জিনিস হঠাৎ করে চলে আসে,,, আপনার ভার্সিটির সুন্দর একটি মেয়ে,, আপনার বন্ধু সব সময় আপনার পাশে পাশে থাকে,, এবং সে আপনাকে মনে মনে ভালবাসে,,, কিন্তু আপনার মন যদি তাকে না চাই তাহলে আপনি তার ভালোবাসাটা বুঝতে পারবেন না,,, আপনার মনে যাকে ভালো লাগবে আপনি শুধু তার ভালোবাসাটায় বুঝতে পারবেন,। একটা মানুষ যাকে একবার মনের গভীরে জায়গা দিয়ে ফেলে,,, তার কান্না মাখা মুখ দেখলে নিজের ভিতরে ভুমিকম্প শুরু হয়ে যায়,,, তার একটু ভুবন ভুলানো হাসি দেখলে,,, দুনিয়ার সব কিছু ভুলে যায়,,, তার একটু অবহেলা পেলে বুকের বাম পাশে চিন চিন ব্যাথা শুরু হয়ে যায়,,,, সে একটু অভিমান করলে,, হাজারো উপায় এর মাধ্যমে তার অভিমান ভাঙ্গানো,,,, ব্লা ব্লা ব্লা আর সেটাকেই প্রকৃত ভালোবাসা বলে,,, আর এই ভালোবাসাটা শুধু একজনকে বাসা যাই,,, যার মুখের ভুবা ভালোবাসার কথাগুলো বুঝতে পারি।। বা মন যাকে চাই,,, একতরফা কখনো ভালবাসা হয় না ভালোবাসা পরস্পরের মনের মিল হতে হবে পরস্পরে ভালবাসতে হবে।।। ভালোবাসার বোবা কথা গুলো পরস্পরে চোখের ইশারায় বুঝে নিতে হবে? আগে বাসায় যেয়ে নেই তারপর রিয়াকে বুঝিয়ে বলব,,,, রিয়া মেয়েটাও একটা পাগলি আমার বন্ধু শামীম ওকে পাগলের মত ভালবাসে টানা চার বছর ধরে ওর পিছনে ঘুরতেছে। কিন্তু পাত্তা দিচ্ছে না”” ওকে কত করে বুঝালাম ও আমার বন্ধু ওর সম্পর্কে আমি সবকিছু জানি খুব ভালো ছেলে রাজি হয়ে যা,, কিন্তু রাজি হয় নাই, আসলে মেয়েরা সত্যি কারের ভালোবাসা বুঝেনা,,, এবার কিছু একটা করতে হবে রিয়া কষ্টে থাকলে আমার ভালো লাগেনা,, বন্ধু শামীম কে দিয়ে রিয়ার জন্মদিনের আগে কিছু একটা ব্যবস্থা করে ফেলতে হবে। আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে ছাদে চলে গেলাম,, আপু এবং ফারিয়াকে কোথাও দেখতে পাচ্ছি না,, আমি ছাদের এক কোনায় দাঁড়িয়ে প্রকৃতি সৌন্দর্যকে দেখছি,,, নিশ্চুপ বিকালের সূর্যের তেজ কমে দক্ষিণা শীতল হাওয়া বইছে,,, সন্ধ্যা নেমে আসার আগ দিয়ে যার যার বাড়ি ফিরতে ব্যস্ত পাখিরা? ★ নীল আকাশ আড়াল করে ভেসে চলছে সাদা সাদা মেঘ তার ঠিক নিচে ছাদের এক কনারে দাড়িয়ে আমি,, অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা আমাদের এই বাংলা,, নানুর বাড়িতে ছয় বছর পরে এসে,,, আজকের বিকালটা খুব করে উপভোগ করছি,,,আমাদে বাসার ছাদে কখনো বিকালটাকে এভাবে উপভোগ করি নাই,,,, হঠাৎ করে ফোনের রিংটোন টা বেজে উঠলো,,,, স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে দেখে বন্ধু শামীমের ফোন,,, শালা আবার আমাকে স্মরণ করলো? ফোনটা রিসিভ করলাম? (আমি)হ্যালো? (বন্ধু) কিরে শালা তুই কই? (আমি) হারামি আমিতো নানুর বাড়িতে? (বন্ধু) তুই কখন আসবি,, দুদিন পরে না রিয়ার জন্মদিন? (আমি)হ্যা আমি জানি কালকে চলে আসব? (বন্ধু) আচ্ছা শালা শুন রিয়ার জন্মদিনে রিয়াকে আবার প্রপোজ করব,, তুই আমাকে হেল্প করবি? (আমি) রিয়া তো তোকে পাত্তা দেই না ? (বন্ধু) শালা তোর জন্য? (আমি) আমি আবার কি করলাম? (বন্ধু) রিয়া মনে হয় মনে মনে তোকে পছন্দ করে,, সে জন্য বারবার আমাকে রিফিউজ করে,। (আমি) শালা একটা লাথি দিবো রিয়া শুধু আমার বন্ধু। (বন্ধু) তাহলে এবার তুই রিয়াকে যেভাবে হোক রাজি করাতে হবে? (আমি) অবশ্যই এবার যেভাবে হোক রিয়াকে রাজি করাবো,, কিন্তু বড় ধরনের ট্রিট দিতে হবে? (বন্ধু) তুই যদি রাজি করাতে পারিস,, শুধু বড় ধরনের ট্রিট না,,, তোর এক মাসে খানার টাকা আমি দিবো? (আমি) শালা হারামী মিথ্যা বলবি না আমার সাথে আমার ক্রিকেট খেলার 3000 টাকা এখনো পাওনা? (বন্ধু) তোর টাকা সুদে আসলে সব ফেরত দিয়া দিব,,, তুমি শুধু একবার রাজি করা? (আমি) আচ্ছা ঠিক আছে করাবো তুই এক কাজ করবি,, রিয়ার জন্মদিনের দিন একজোড়া কাচের নুপুর এনে রিয়াকে প্রোপোজ করবি,,, বাকিটা আমি সামলে নিব। (বন্ধু) শালা কাচের নুপুর কেন? (আমি) কাচের নুপুর রিয়া খুব পছন্দ করে, অনেকদিন ধরে আমাকে বলছে একজোড়া কাচের নুপুর এনে দিতে? (বন্ধু) তাই নাকি সত্যি বলছিস তো শালা? (আমি)হ্যা আমি সত্যি বলছি? (বন্ধু) তাহলে এখনই আমি মার্কেটে গিয়ে কাঁচের নপুর কিনে আনবো,,, তুই তাড়াতাড়ি কালকে সকালে চলে আসবি,,, হারামি এবার যদি তুই রাজি করাতে না পারিস শালা তোকে আমি কিরবো আমি নিজে ও জানিনা? (আমি) শালা এবার যেভাবে হোক রাজি করাব তোর চেয়ে বেশি ইম্পরট্যান্ট আমার? (বন্ধু) কিরে শালা কি বলছিস তুই,,, আমার চেয়ে ইম্পরট্যান্ট তোর মানে? (আমি) হারামি তুই বুঝবি না,,, রিয়া মনে হয় আমাকে সত্যি সত্যি মনে মনে ভালবাসত? (বন্ধু) কি বলছিস তুই কেন? (আমি) কারণ কিছুক্ষণ আগে রিয়াকে আমি ঈশিতা আপুর কথা বললাম,,, রিয়া শুনে কেঁদে ফোন রেখে দিল??? (আমি) শালা আমি যা ভাবলাম তাই হলো,, তুই আমার প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়াবি,,, তুই আয় তোকে আমি মজা বোঝাবো? (আমি) আরে শালা আমার কথা শোন? (বন্ধু) কি কথা? (আমি) রিয়া হয়তো আমাকে ভালবাসতে পারে কিন্তু আমি রিয়াকে কখনো ভালবাসার চোখে দেখি নাই ,,, ওকে আমি সব সময় বন্ধু ভেবে এসেছি, বন্ধু বেশি কখনো ভাবি নাই,,, আর তোর কথা সত্য ইশিতা আপু আমাকে ভালবাসে? (বন্ধু) কি ভাবে বুঝলি?? (আমি) ইশিতা আপু আজকে তার কথা এবং ব্যবহারে ইঙ্গিত দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে। (বন্ধু) আমি বললাম না ঈশিতা আপু তোকে ভালবাসে,,,, এখন তুই ইঙ্গিত মিঙ্গিত বাদ দিয়ে ঈশিতা আপুকে সোজা প্রপোজ কর,,,, তারপর আমার লাইন ক্লিয়ার কর? (আমি)হ্যা করবো তোর লাইন ক্লিয়ার করব আগে,,, এখন তোকে আমি যেভাবে বলেছি,,, একজোড়া কাচের নুপুর এনে রিয়ার জন্মদিনে ওকে প্রোপোজ করবি? তার পর বাকিটা আমি দেখে নিবো? (বন্ধু) শালা দেখাদেখি বাদ দে,, তুই বাসায় এসে সর্বপ্রথম ইশিতা আপুকে প্রপোজ করবি,,, তা না হলে আমার লাইন ক্লিয়ার হবে না,,,, (আমি) শালা প্রপোজ করার জন্য বাসায় আসবো কেন? (বন্ধু) তাহলে তুই বাসায় না এসে কিভাবে প্রপোজ করবি,,, তুই প্রপোজ না করলে তো রিয়াকে আমি পাবো না? (আমি) আপু আমার সাথেই আছে নানুর বাড়িতে? (বন্ধু) তাহলে এখনি যেয়ে প্রপোজ কর? (আমি) দোস্ত আমার না ভয় করে,, যদি থাপ্পর মারে? (বন্ধু) শালা ভয় কিসের রে,,তুই না বললি ইশিতা আপু তোকে ভালবাসে,,, (আমি)হ্যা ভালবাসে তার পরে ও আমার ভয় করে? (বন্ধু) শালা তোর ভয়ের গুষ্টি কিলাই,, তুই ঈশিতা আপুর সামনে গিয়ে চোখ বুজে বলে ফেলবি,,,আমি আগ ঐ জানি ইশিতা আপু তোকে ভালবাসে,,, কিচ্ছু করবেনা আপু তোকে”””? (আমি) হ্যাঁ শালা সত্যি বলছিস তো? (বন্ধু)হ্যাঁ সত্যি বলছি তুই এখনই গিয়ে প্রপোজ কর? (আমি) যদি তোর কথা সত্যি হয় তাহলে তোকে একটা উম্মাহমমম,, আর যদি না হয় তাহলে তোকে????? কথাটা বলে শেষ করতে পারলাম না। তার আগেই আমার হাত থেকে কে যেন মোবাইলটা কেড়ে নিয়েছে,,, পিছনে ফিরে দেখি ঈশিতা আপু? হায় হায় রেগে পর্বতের শেষ চূড়ায় উঠে আছে,,,, এ শাকচুন্নি হঠাৎ করে হঠাৎ করে কোথা থেকে আসলো,,,,, আমি শামীমকে উম্মাহ দিয়েছি এখন তো মনে করবে,,, কলেজের ওই মাইয়া কে দিয়েছি। আজকে তো আমাকে খবর করে ছেড়ে দিবে। আর না হয় ছাদ থেকে ফেলে দিবে। আমি এখন কি করবো। দৌড় দিব,, না দৌড় দিব না দেখি কি করে। সাহস করে দাঁড়িয়ে আছি হায় হায় এটা কিরলো আমার এত দামি মোবাইল টা আছাড় মেরে ভেঙ্গে ফেলল,,, আমার অনেক কষ্টের টাকায় কিনা পাক্কা গুণে গুণে ১৬০০০হাজার টাকা নিয়েছিল? মোবাইলটা ভেঙ্গে আবার আমার দিকে আসছে,, তার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখি চোখগুলো দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে,, আমার কাছে এসে,, আমার দুগালে ২+২=৪টা থাপ্পর দিয়ে কলার চেপে ধরেছে? আমি কেঁদে দিলাম তুমি আমাকে মারলে কেন আর আমার এত দামি ফোনটা ভাঙলে কেন? (আপু) তোর সাহস দেখে আমি আর পারছি না,,, তোকে দুপুরে না করলাম ওই মেয়ের দিকে না তাকানোর জন্য,,ঐ মেয়ের সাথে কথা না বলার জন্য? তারপরও তুই ঐ মাইয়াকে ফোন দিয়ে পাপ্পি দিচ্ছিস,,, (আমি) তাই বলে তুমি আমার মোবাইলটা ভেঙ্গে ফেলবে, আমার অনেক কষ্টের টাকায় কিনা,,, (আপু) শুধু তো মোবাইলটা ভেঙেছি,,,তোকে এখন ছাদ থেকে নিচে ফেলে দিবো? আমার রাগ উঠে গেলো। ফেলে দিবা ফালাও,,,, কি পেয়েছ তুমি কথায় কথায় থাপ্পড় মারো,,, থাপ্পর মেরেছে সমস্যা নেই কিন্তু আমার মোবাইলটা ভেঙ্গেছো কেন,,, আমার অনেক কষ্টের টাকায় কেনা মোবাইলটা””” আপু স্টপ হয়ে গেল কোন কিছু বলছে না,,, আমি রেগে আবারো বলতে শুরু করলাম,,, না জেনে না বুঝে সব সময় আমার সাথে রেগে যাও কেন,,, তুমি জানো আমি কার সাথে কথা বলছিলাম,,,, আমার বন্ধু শামীম এর সাথে কথা বলছিলাম,,,ও আমাকে একটা কাজে হেল্প করেছিল,,, তাই ওকে আমি আনন্দের কারণে,,, একটা উম্মামম দিয়েছিলাম,,,আর তুমি মনে করেছ আমি ঐ মাইয়াকে উম্মাহমমমমা দিয়েছি,,, আমি কোন মাইয়াটা টাইয়া চিনিনা,,, তোমাকে আজকে আমি মিথ্যা বলেছিলাম,,,,,আর না জেনে না বোঝে আমাকে থাপ্পর মারলা আমার মোবাইলটা ভেঙ্গে ফেললা সব সময় আমার সাথে এরকম করো।। কি পেয়েছ তুমি? তোমার সাথে আমার আর কোন কথা নাই,, আজকের পর থেকে তুমি আমার সাথে আর কোন কথা বলবা না?আর আমি আর এক মুহূর্তেও এখানে থাকবো না এখনই বাসায় চলে যাব,,, আপুর দিকে তাকিয়ে দেখি চোখে পানি টলমল করছে,,, আমি রাগের কারনে চোখ বুজে সব গুলো কথা বলে ফেললাম,,, রাগ উঠেছে শুধু মোবাইলটা ভাঙ্গার কারণে,,, থাপ্পড়ের কারণে না,,, মোবাইল টার ভিতরে আমার অনেক ইম্পরট্যান্ট জিনিস আছে? আপু আমার শার্টের কলার ছেড়ে স্থির হয়ে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে,,, আমি রেগে হাটা শুরু করলাম,,, অল্প একটু যেতেই আপু এসে বলতে শুরু করল? কোথায় যাচ্ছিস শুননা,, আরে আমার কথাটার তো শুন,,, আমি বলছি আমার ভুল হইছে,,, আর কখনো তোর সাথে এরকম করবো না? আমি থামছিনা আমি সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছি? (আপু) আমি বুঝতে পেরেছি আমার ভুল হইছে,, প্লিজ তুই যাসনা না,,, আরে দাড়া না আমার কথাটা তো শুন,,,, আমি বলছি তো আমার ভুল হইছে,,,, সেই ভুলের জন্য তুই যা বলবি আমি তাই করবো।এই যে আমি কান ধরছি আর কখনো তোর সাথে এরকম করবো না। তার পরে ও তুই যাসনা? আমি পিছনে তাকিয়ে দেখি সত্যিই আপু কান ধরে দাঁড়িয়ে আছে আর কান্না করছে,,, আমার রাগ আর ধরে রাখতে পারলাম না,,, নিজের কাছেই খারাপ লাগছে,, কতগুলো কথা বলে ফেলেছি,,, এভাবে কাঁদানো উচিত হয় নাই,,, মোবাইল ভেঙ্গেছে তো কি হয়েছে,,, আরেকটা কিনে নিবো? আমি নিজেকে আর সামলিয়ে রাখতে পারলাম না,, আমি তাড়াতাড়ি আপুর কাছে গেলাম কি করছো তুমি কান ধরেছো কেন,,, কান ছাড়ো,,, আর কান্না করতে হবে না,,,, আমি সরি রাগের মাথায় সব গুলো কথা বলে ফেললাম।। তুমি মনে করেছো আমি সত্যি সত্যি চলে যাবো,, কক্ষনো না,,, আবেগি হয়ে উঠলাম,, তোমাকে ছেড়ে কখনো যাবনা,, তুমি ভাবলে কি করে তোমাকে ছেড়ে চলে যাব? আপু নিজেকে আর সামলাতে পারল না,, কেঁদে কেঁদে আমাকে জড়িয়ে ধরল,,, আর বলতে লাগলো,, তুই জানিস না তুই কারো সাথে কথা বললে আমি সহ্য করতে পারিনা,,, তাই আমি মনে করেছি তুই ঐ মাইয়ার সাথে কথা বলছিস,,, এর জন্য আমি রাগের মাথায় এগুলো করেছি,, আমি সরি (( কেঁদে কেঁদে)))) আমিও আপুকে জড়িয়ে ধরেছি,,, কতক্ষণ ধরে জড়িয়ে আছি বলতে পারব না,,, প্রথম জড়িয়ে ধরা,, প্রথম অনুভূতি,, প্রথম জড়িয়ে ধরার ফিলিংস উপভোগ করছি,,, দুজনের কেউই কোন কথা বলছি না,,, হঠাৎ করে ফারিয়ার কন্ঠ শুনতে পেলাম,,, ফারিয়া সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠছে,,, আমি আপুকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলাম,,, কিন্তু শাকচুন্নি আমাকে এভাবে ধরেছে যে আমি ছাড়াতে পারছিনা? আরে কি করছো ছাড়ো ফারিয়া আসছে তো,, দেখলে সর্বনাশ হয়ে যাবে””” ও সবাইকে বলে দিবে।। (আপু) দেখলে দেখুক,, তুই আমাকে ছাড়বিনা,, বলে দিলাম,,, দুদিন পরে সবাই এমনি জানতে পারবে?? তাই বলে এখনে নানুর বাড়িতে দেখে ফেললে সমস্যা হবে,,, ছাড়ো ফারিয়া চলে এসেছে,,,, আমি অনেক কষ্টে নিজেকে ছাড়িয়ে নিলাম,,, তারপর ছাদ থেকে নেমে সোজা রুমে,,,, কিছুক্ষণ পরে আপুর কাছে বলে ফারিয়াকে নিয়ে ঘুরতে গেলাম,,,, কিন্তু আমাকে বারবার সাবধান করে দিয়েছে ফারিয়ার শরীরে যেন একটু টাচ না লাগে,, ফারিয়ার কাছ থেকে যেন পাঁচ হাত দূর দিয়ে হাঁটি। সারা বিকাল ফারিয়াকে নিয়ে ঘুরে সন্ধ্যায় বাসায় আসলাম,,, বাসায় এসে দেখি আপু নাই,,, আমি কাউকে কিছু বললাম না,,, রাত ৮. ৩০ আপুকে কোথাও দেখতে পাচ্ছি না,,, বাসার সারে রুম উঁকিঝুঁকি মারলাম,, কিন্তু কোথাও দেখতে পাচ্ছি না,,, বুকের বাম পাশে দুগ দুগ ব্যাথা অনুভব করছি। কোথায় গেল শাকচুন্নি,,, কাউকে জিজ্ঞাসা করলাম না রুমে চলে আসলাম।।। রাত ৯.৩০ টা আমার ভিতর অস্থিরতা বেড়েছে,,, কোথায় গেল আমাকে না বলে,,, কিছুক্ষণ পরে ফারিয়া ডাকতে আসলো আমাকে খেতে সবাই বলে ওয়েট করছে।। আমি মনে করলাম আপু হইতো আছে,, আমি তাড়াতাড়ি খাবার টেবিলে চলে গেলাম,,, খাবার টেবিলে গিয়ে তো আমি চমকে গেলাম,, খানার টেবিলে সবাই আছে,, কিন্তু আপুকে দেখতে পাচ্ছি না,,, সবার চেহারাই স্বাভাবিক দেখা যাচ্ছে।। কিন্তু আমার আর মানছে না,,, সারা শরীর কাঁপতে লাগলো,,, কোথায় গিয়েছে মেয়েটা,,, রাত এখন সাড়ে নয়টা বাজে,,, আর সবাই কি স্বাভাবিক দেখছি,,, তার মানে কিছু হয় নাই তো,,,, কিন্তু মনে হচ্ছে বুকের ব্যাথাটা ক্রমেসে বাড়তে লাগলো।। কখনো তো আমাকে না বলে কোথাও যায় না,,, তাহলে আজকে কোথায় গেল,,, সব চিন্তা মাথার মাঝে এসে ভর করেছে।। আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে নানা বাই বলতে শুরু করলো।কি হয়েছে নানা বাই দাড়িয়ে আছো কেনো? আমি বললাম নানা বাই আপু কোথায় গিয়েছে। কিন্তু নানা ভাই কিছু বলছে না।সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে ,,, নিজেকে আর ধরে রাখতে পারছি না,,,, মনে হচ্ছে আমার পুরো মাথা ঘুরছে,,, এখনই বুঝি পড়ে যাব। হঠাৎ করে পিছন থেকে মাথায় কে যেন একটা টুন্ডা দিল,,,,, পিছনে ফিরে ব্যাকা চেকা খেয়ে গেলাম,,, গুন্ডি মেয়ে আমার পিছনে দাঁড়িয়ে,,, শাকচুন্নি এতক্ষন কোথায় ছিলো,, আজকের শাকচুন্নি কে মজা দেখাবো,,, আমাকে টেনশনে রাখা।

নতুন ভিডিও গল্প!

(((((((((চলবে))))))))


Tags: , , , , , , , , ,

Comments are closed here.