সিনিয়র আপু যখন বউ (পর্ব-১৩)

December 19, 2020 | By Admin | Filed in: চটি কাব্য, সিনিয়র আপু যখন বউ.

সিনিয়র আপু যখন বউ (পর্ব-১২)

View all stories in series

★গাড়ি আপন মনে চলতে লাগল,, আমি নিজেকে ভাসমান সাগরে ভাসাতে লাগলাম,, হঠাৎ করে একটা ট্রাক খুব স্পিডে পাস কেটে যাওয়ার সময়,, রাস্তার সব ধুলো এসে আমার চোখে পড়লো,, আমি সামনে কিছুই দেখতে পাচ্ছি না ,, আপু বলতে শুরু করল কি হলো গাড়ি এভাবে চালাচ্ছিস কেন,, একসিডেন্ট করবি তো? (আমি) চুপ কর এত কথা কেন বলো আমি চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছি না? (আপু) কি বলিস তাহলে তো অ্যাক্সিডেন্ট করবি নিশ্চিত গাড়ি সাইট করে রাখ?
★আমি বাইকটা একটু সাইড করে,, আপুকে বললাম তাড়াতাড়ি নাম,, আপু নেমে পড়ল” আমি বাইক টা সাইট করে নামতে যাব এমন সময় বাইক সহকারে পড়ে গেলাম আমার বাঁ হাতটা বাইকে নিচে পরেছে,, আপু তারাতারি এসে আমাকে টেনে তুলল?
(আপু) ব্যাথা পাস নাই তো?
(আমি) ব্যাথা পায় নাই কিন্তু আমার চোখ জ্বলতেছে,,,
দেখি কি হয়েছে আপু আমাকে টেনে ল্যাম্পপোস্টের আলুর কাছে নিল,, কিন্তু ল্যাম্পপোস্টের আলোয় কিছুই দেখা যাচ্ছে না,, আমি চোখে হাত দিয়ে নিচে বসে পড়লাম,, বাঁ হাতে একটু একটু ব্যথা লাগছে,, সেদিকে কোন খেয়াল নেই? আপু মোবাইলের ফ্লাশ লাইট জ্বালিয়ে আমার চোখ দেখবে কিন্তু আমি তাকাতে পারছি না,, আমার চোখ দিয়ে পানি চলে আসছে,,
(আপ) দেখি তাকা?
আমি তাকাতে পারছি না তো?
(আপু) হাই খুদা এখন কি করব কোন বিপদ? এখানে তো কোন দোকানে ও পাবনা? আমি জানিনা তাড়াতাড়ি কিছু একটা কর
(আপু) কোন মুসিবতে পড়লাম তুই দাঁড়া আমি দেখতেছি,, আপু দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দিয়েছে,, হয়তো দোকান খুঁজছে,,৫ মিনিট পরে আপু হাঁপাতে হাঁপাতে আমার কাছে আসলো,, হাতে একটা বোতল দিয়ে বলতে শুরু করল,, তাড়াতাড়ি চোখে পানি দে,,
(আমি)পানির বোতল কোথা থেকে পেলে?
(আপু)পরে বলব এখন তাড়াতাড়ি চোখে পানি দে)
আমি বোতল টা হাত থেকে নিয়ে,, চোখে পানি দিলাম,, এখন একটু দেখতে পাচ্ছি কিন্তু চোখ জলতেছে?
(আপু) এখন দেখতে পাচ্ছিস?
(আমি)হ্যা অল্প অল্প দেখতে পাচ্ছি কিন্তু চোখ চলতেছে,,
আপু ফ্লাশ লাইটের আলো জ্বালিয়ে তাকা আমার দিকে,, আমি আপুর দিকে তাকালাম,, কিছু নাই তো চোখে?
(আমি) কিছু না থাকলে এভাবে জ্বলতেছে কেন? দাঁড়া এক মিনিট আপু আপুর ওড়ণাটার এক কোনা মুষ্টি করে,, মুখের ভিতরে পুরে আপুর গরম শ্বাস দিয়ে আমার চোখে ছেক দিতে লাগলো,, আমি এক চোখে অবাক দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছি,, আমি কল্পনাও করতে পারিনি,, আপু এভাবে তার মুখের গরম নিঃশ্বাস দিয়ে আমার চোখে ছেক দিবে,, অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করছে,, এক মুহূর্তের জন্য মনে হলো আমি স্বর্গে বিচরণ করছি,, এখন একটুও চোখ জ্বলছে না? আপু কিছুক্ষণ এভাবে দেওয়ার পর বলল এখন কেমন লাগছে,, এখন একটু একটু ভালো লাগছে কিন্তু আমার মনে হয় চোখে কিছু একটা রয়েছে? আপু বলল ঠিক আছে চোখ বড় করে ভালো করে তাকা,,, আমি চোখটা বড় করে খুলে তাকালাম,,সাথ সাথে আপু তার গোলাপের পাপরি জোড়া মত দুটি ঠোঁট,, অল্প ফাঁক করে ফু দিতে লাগলো,, আপুর গরম নিঃশ্বাসের উষ্ণন হাওয়া আমার চোখে মুখে নাকে লাগছে,, কিছুক্ষণের জন্য নিজে কে হারিয়ে ফেললাম কোন এক অজানায়,, আপুর ঠোট আর আমার ঠোটের এতো কাছে যে হয়তো আমার নিঃশ্বাস ও তার উপরে পড়ছে,, মনে মনে ঈশ্বরকে বলি হে ঈশ্বর, কিছুক্ষণের জন্য সময়টাকে এক জায়গায় স্থির করে দাও, আমি এক চোখে অপলক দৃষ্টি নিয়ে আপুর ঠোঁট জোড়ার দিকে তাকিয়ে আছি,, আপুর সেদিকে কোন খেয়ালই নেয়,, ফুঁ দিয়েই যাচ্ছে,, হঠাৎ করে আপু আমার চোখের দিকে নজর পড়লো,, একটু লজ্জা পেয়ে ফুঁ দেওয়া ইস্টপ করে দিয়েছে,, আমিও এক লজ্জা পেয়ে গেলাম,, দুজনে কিছুক্ষণ কোন কথাই বললাম না? নিরবতা ভেঙ্গে আপু বলল এখন কেমন লাগছে,, (আমি)হুম এখন একটু ভালো লাগছে? (আপু) এখন যেতে পারবি? (আমি)হ্যা যেতে পারবো? (আপু) তাহলে চল? আমি উঠে বাইকের কাছে যাব এমন সময় আপু পড়তে শুরু করলো,, দাঁড়া এক মিনিট,, তোর মাথার ব্যান্ডেজ কই? হায় আল্লাহ ধরা পরে গেলাম নাকি,, মাথার ব্যান্ডেজ তো বাধি ঐ নাই,, মনে ছিল না,, এখন কি বলি,৷ কিছু একটা বলে কাটাতে হবে,, তা না হলে আজকে আমার কপালে দুঃখ আছে?
(আমি) আসলে নানুর বাড়িতে যাচ্ছি তো মাথায় ব্যান্ডেজ দেখলে সবাই কি ভাববে,, তাই ব্যান্ডেজ খুলে ফেললাম?
(আপু) খুলে ফেললি ভালো কথা কিন্তু কাটার দাগ কই,, হায় হায় সত্যি ধরা পড়ে গেলাম,, না কাটার দাগ শুকিয়ে গিয়েছে?
(আপু) আমাকে কি তুই বোকা পেয়েছিস কাটার দাগ একদিনে শুকিয়ে যায়,, সত্যি কথা বল বলছি,,, না ধরা পরে গেছি আর লুকিয়ে লাভ নেই?
(আমি) আসলে ঐ দিন তোমার সাথে অভিনয় করেছিলাম,,
(আপু) কি ইইইইই তুই আমার সাথে অভিনয় করেছিলি,,কি বলছিস তুই,, আমি তো কোনই বুঝতে পারছি না?
(আমি) হ্যাঁ আপু সত্যি ঐ দিন তোমার সাথে ফাইজলামি করেছিলাম,, তাহলে শুধু শুধ আমাকে এভাবে কাঁদালি কেনো,, আমি কত টেনশনে ছিলাম ওই দিন, আমাকে কাদাতে তোর ভালো লাগে হেহ,(( কাঁদো কাঁদো হয়ে))) আমি মনে করেছি আপু রেগে আমাকে থাপ্পর মারবে,, তা না করে কাঁদো কাঁদো হয়ে বলবে, আমি ভাবতেও পারিনি,,
(আমি) আসলে আমি সরি আর কখনো এরকম করবো না,, এই যে কান ধরছি,,
(আপু) আমি তোর কোন কথাই শুনবো না, তুই যখন আমাকে কাঁদিয়ে মজা পাস তো তাহলে কাদাঁ((( নরম কন্ঠে)))) আপুর এরূপ কখনো আমি দেখি নাই? বললাম তো আমি সরি আর কখনো এরকম করবো না এই যে এখনো কান ধরে রাখছি,,
(আপু) একি তোর পাঞ্জাবিতে রক্ত কোথা থেকে আসলো,, আমি আপুর কথা শুনে কান ছেড়ে পাঞ্জাবির দিকে তাকালাম সত্যিই রক্ত,, হাতের দিকে তাকিয়ে দেখি হাত বেয়ে রক্ত পড়ছে,, আপু দৌড়ে এসে আমার হাত ধরলো,, আতঙ্ক কন্ঠে বল তো শুরু করল কোথা থেকে রক্ত পড়ছে দেখি,, আমি বাঁ হাতের পাঞ্জাবির ডেনাটা উপরে তুললাম,,
(আপু) সে কি তোর হাত তো অনেকটা কেটে গিয়েছে,, প্রচুর ব্লিডিং হচ্ছে,, আপু প্রায় দিশেহারা,, এখন আমি কি করবো,, কোন ডাক্তার এ তো পাবনা,,,, আপু কান্না শুরু করে দিয়েছে,,,
(আমি) কি হলো এভাবে কাদছো কেন,,
(আপু) আমি কাঁদলে তোর কি তোর তো আমাকে কাদাতে ভালো লাগে(( কেঁদে কেঁদে)))
(আমি) আ হা এভাবে কাদছো কেন আমার কিছু হয় নাই তো,,
(আপু) গাধা ছেলে কোথাকার এভাবে কেটে গেছে বলতেই পারেনা,, প্রচুর ব্লিডিং হচ্ছে,, এভাবে রক্ত পড়তে থাকলে তো শরীরের সারা রক্ত বের হয়ে যাবে?? আপু চোখে পানি চকচক করছে,, দেখে মনে হচ্ছে আমার কাটে নাই আপুর কেটেছে? আপুর নতুন ওড়নাটা ছিড়ে আমার হাত বাধতে যাবে?
(আমি) কি করছো নতুন ওড়নাটা ছিড়ছো কেন?
(আপু) তোর থেকে আমার ওড়নাটা বেশি দামি হল? আমি আর কিছু বললাম না আপু ওড়নাটা দিয়ে আমার হাত বেধে দিতে দিতে বক বক করে বলতে লাগল সব দোষ আমার কি জন্য সন্ধ্যা বেলা তোকে নিয়ে আসলাম আজকে যদি না আসতাম তাহল তোর এই অবস্থা হতো না ? (আমি)আরে এমন করছ কেনো৷ কিচ্ছু হয় নাই তো আমার? (আপু) একদম চোপ কোন কথা বলবি না তুই,, আস্তা মারা গাধা একটা কতটা জায়গা কেটে গেছে বলতেই পারে না” এরকম গাধা দেখি নাই আমি কখনো? (আপু) এখন কি করব এমন জায়গায় এসে ফ্যাশেছি যে না যেতে পারব বাড়িতে না যেতে পারবো নানুর বাড়িতে,, (আমি) আ হা টেনসন করছো কেন,, ব্যবস্থা একটা হয়ে যাবে,, চলো বাইকেই চলে যায়? (আপু) তুই কি পাগল হয়েছিস? (আমি) কেন? (আপু) কাটা হাত নিয়ে বাইক চালাবি? (আমি) চালাতে পারবো কিচ্ছু হবে না আমার? (আপু) চুপ করে বসে থাক? (আমি) কিচ্ছু হবে না তো আমার,, সারারাত কি এখানে দাঁড়িয়ে থাকবো? (আপু) বলছি না চুপ করে বসে থাক আর একটা কথা বললে থাপ্পর দিয়ে সব গুলো দাঁত ফেলে দিবো আয়ছে কাটা হাত নিয়ে বাইক চালাতে,,, প্রায় ১০ মিনিট ধরে রাস্তায় দাড়িয়ে আছি আপু আর আমি কেউই কোন কথা বলছি না,,, অনেকক্ষণ নীরবতা ভেঙে বললাম এভাবে সারা রাত রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকবো? (আপু)দাঁড়া মামাকে ফোন দেয়,,আপু মামা কে ফোন দিল,, কি জানি বলছে,, হয়তো আমার কথা বলছে, ফোন রাখার পরে বললাম মামা কি বলল? (আপু) মামা গাড়ি নিয়ে আসতেছে আধা ঘন্টার মত লাগবে? (আমি) আচ্ছা আমার না প্রচুর খিদে লেগেছে,,, (আপু) চল সামনে একটা দোকান আছে ওই দোকানে যাই,, আমি আর আপু 5 মিনিট হেঁটে একটা দোকানে গেলাম,, দোকানে যেতে দেরি,, দোকানদার ওয়ালা বলতে শুরু করল ম্যাডাম আমার পানির বোতলের টাকা না দিয়েই চলে গেছেন? বুঝতে পেরেছি আপু তারাতারি আমার জন্য পানি নেওয়ার কারণে দোকানদারকে টাকা দিতে ভুলে গেছে? (আপু)ও হ স্যারি আঙ্কেল আসলে ঐ সময় তাড়াতাড়ির পানিটা নেয়ার কারণে আপনার টাকাটা দিতে মনে ছিল না? দোকান থেকে কিছু খেয়ে বিল মিটিয়ে আবার বাইক এর কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম,, প্রায় ৪০ মিনিট পরে মামা গাড়ি নিয়ে আসল? মামা আমাকে দেখে জড়িয়ে ধরেছে,,, কি হয়েছে তোর হাত বেঁধে রাখছিস কেন,,, আর এত রাতে তোদেরকে কে বলছে আসতে,,, আর তো এ অবস্থা কেন শরীরের কি অবস্থা করেছিস? আসলে মামা ৬ বছর পরে আমাকে দেখছে তো তাই আবেগে আপ্লুত তো হয়ে গেছে,,,৬ বছর আগে নানুর বাড়িতে গিয়েছিলাম””আর য়াওয়া উঠে নায়? (আমি) কিচ্ছু হয় নাই মামা হাতে একটু ব্যাথা পেয়েছি,,, বাইক চালাতে পারবো না দেখে আপু তোমাকে ফোন দিল? (মামা)কি ভাবে ব্যাথা পেলি? (আমি) বাইক থেকে পড়ে গিয়েছিলাম? (মামা) তোদেরকে কে বলল বাইক দিয়ে আসতে আমাকে ফোন দিতি আমি তোদেরকে নিয়ে আসতাম? (আপু) মামা এখনেই দাড়িয়ে সব কথা বলবে,,তাহলে বাসায় যেয়ে কি বলবে? (মামা)ও হ্যাঁ তাইতো চল? (আমি) দাড়াও আমার বাইক কি এখানে ফেলে যাব? (মামা)তোর বাইক আমার গাড়ির ড্রাইভার নিয়ে আসবে,, আমরা গাড়িতে উঠলাম মামা গাড়ি চালাচ্ছে আমি আর আপু পিছনের সিটে বসে আছি,, মামা একটা হসপিটালের সামনে রেখে আমার হাত ব্যান্ডেজ করে নিল,, আবার গাড়িতে উঠে নানুর বাড়িতে রওয়ানা দিলাম,, গাড়িতে উঠার সাথে সাথে আমার দু চোখে ঘুম এসে ঝরো হয়েছে,,, যখন ঘুম ভাঙলো তখন দেখি আমার মাথা আপুর কাঁধে,, আপু আমার মাথায় হাত বুলাচ্ছে,,, আমি ধড়ফড় করে উঠে বসলাম,, একটু লজ্জা পেয়ে গেলাম? (আমি) সরি সরি আসলে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম তো তাই কিছু মনে ছিল না,, (আপু) এখানে সরি বলার কী আছে,, এর ভিতর নানুর বাড়ির গেটের সামনে পৌঁছে গেলাম,,, মামা গাড়ির সাইড করে রেখে বললো ভিতরে যা,, আমি আর আপু গাড়ি থেকে নেমে ভিতরে গেলাম,, ভিতরে যাওয়ার সাথে সাথে সবাই এসে জড়িয়ে ধরেছে,,নানা বাই নানু ছোট খালা মামানি,,, সবাই বলতে শুরু করল এত রাতে আসতে গেলি কেন,, আর তোর হাতে এটা কি,, এতদিনে আমাদের কথা তোর মনে পড়ল তোর সবাই কাদুঁ কাদঁ হয়ে গেল ? আসলে সবাই অনেক দিন পর আমাকে দেখছে তো তাই আবেগে আপ্লুত হয়ে গিয়েছে,,, আমি সবাইকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলাম,,, বেশি অনুভূতি থেকে তৈরি হয় আবেগ সে আবেগটাই যখন বেশি হয়ে যায় তখন চোখ দিয়ে এমনি এমনি পানি চলে আসে? আমি নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে বললে সবাই এ ভাবে বললে আমি উত্তর দিব কিভাবে? (মামা) এখন উত্তর দিতে হবে না যেয়ে ফ্রেশ হয়ে নে আগে? সবাই বলল হ্যা আগে ফ্রেশ হয়ে নে তারপর খাওয়া দাওয়ার পরে কথা হবে? এর মধ্যে আপু বলতে শুরু করল সবাই শুধু ওকে ঐ দেখেছো আমাকে দেখো না? নানা নানু সবাই গিয়ে আপুকে ধরল,, নানু বলতে শুরু করল,, তুই আমার লক্ষী বোন’নানু বাই,, (আপু) হয়েছে হয়েছে এতক্ষণ আমাকে কেউ দেখো ওই নাই? (নানা বাই) কে বললো তোকে দেখি নাই,, তুই তো সব সময় আমাদের চোখে মণি চোখেই থাকিস? (মামা) হয়েছে হয়েছে এখন ওদেরকে ফ্রেশ হতে দাও,? আমি আর আপু ফ্রেশ হয়ে খানার টেবিলে গেলাম,, সবাই শুধু আমার প্লেটেই তুলে দিচ্ছে,, আমার আপুর দিকে তাকিয়ে দেখি,আপু আমার দিকে চোখ বড় করে তাকিয়ে আছে,, হয়তো একটু একটু হিংসে করছে,, আমি বললাম আপু কে দাও না কেন,, আপু বলল আমার খেতে হবে না তুই ঐ খা রাক্ষস একটা? ★আপু নিশ্চয়ই রাগ করেছে আপুকে দাও,, সবাই আপুর প্লেটে দিতে শুরু করলো,,,, খেতে খেতে অনেক কথা বললাম,, নানা ভাই বলল অনেক দিন পরে আসলি ৪ ৫ না থেকে যেতে পারবি না,, কালকে ওই চলে যাব? (নানা বাই) কি বলিস? (আমি) সামনে পরীক্ষা এখন কলেজ মিস করা যাবে না””” আরও অনেক কথা বলে আমি উঠে পড়লাম,,, ড্রয়িংরুমের সোফায় গিয়ে বসলাম,, ৫ মিনিট পরে কোথায় থেকে যেন একটা মেয়ে এসে আমাকে ভাইয়া বলে আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে ধরেছে,,, আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম,,, সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে,,, আমি আপুর দিকে তাকিয়ে দেখি আপুর চোখ দুটি অগ্নি বর্ণ ধারণ করেছে,, এভাবে তাকিয়ে আছে আমার দিকে যেন মনে হচ্ছে আমাকে গিলে খেয়ে ফেলবে? (আমি) কে তুমি এভাবে জড়িয়ে ধরেছ কেন ছাড়ো? বাহ বাহ দেখতে তো খুব মিষ্টি? (মামা) ওকে চিনতে পারছিস না ও ফারিয়া? (আমি)ও ফারিয়া অনেক বড় হয়ে গিয়েছে,, অনেক ছোট্ট দেখছিলাম? (ফারিয়া)হ্যা ভাইয়া আমি এখন আর ছোট্ট নাই? (আমি)হ্যা তোমাকে দেখে ওই তো বুঝতে পারছি,,, এতক্ষণ কোথায় ছিলে? (মামানি) মেয়েটার কথা আর বলিস না,, সারাদিনে বাসা ও বাসা ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করে না,, একবারে যা বলে তাই করে,, বাবার মতো জেদি হইছে? (আমি)হ্যাঁ দেখে ওই বুঝতে পারছি? তা ফারিয়া এখন কোন ক্লাসে পড়ো? (ফারিয়া) ক্লাস নাইনে ভাইয়া? (আমি)খুব ভালো ঠিকমত লেখাপড়া করবা? (ফারিয়া) আচ্ছা?ভাইয়া এতদিন আমাদের বাড়িতে আসো নাই কেন? (আমি) ভাইয়ার কলেজ আছে তো,, তাই আসতে পারি না,, (মামানি) ফারিয়া তোর ভাইয়াকে এখন ঘুমাতে যেতে দে,, তোর ভাইয়ার হাতে ব্যাথা,,কালকে কথা বলবি (ফারিয়া) কিভাবে ব্যাথা পেয়েছে? (আমি)ও কিছু না,,কালকে তোমার সাথে কথা হবে এখন ভাইয়া ঘুমাতে যায়”” মামানি আমাকে একটা রুম দেখিয়ে দিল,, রুমটা খুব গোছালো,,সেম আমার রুমের মত কিন্তু আমার রুমটা এরকম গোছালো না? ★ যাক শরীরের উপর দিয়ে অনেক কিছু গিয়েছে এখন একটু আরামে ঘুম দেই? ★ আমি পাঞ্জাবীটা খুলে একটা গেঞ্জি পরলাম,, শুতে যাব এমন সময় দেখি কে যেন আমার পিছন থেকে আমার গেঞ্জি টেনে ধরেছে, পিছনে ফিরে দেখি আপু,, (আমি) কি হলো এভাবে টেনে ধরছো কেন? (আপু) ঠাস সস ঠাসস? (আমি) মারছ কেন? (আপু) কুচি সুন্দরী মাইয়া জড়িয়ে ধরলে খুব ভালো লাগে? (আমি) কোথায় কাকে জড়িয়ে ধরলাম? (আপু) কেন সবার সামনে ফারিয়াকে জড়িয়ে ধরলি কেন? (আমি) আমি জড়িয়ে ধরেছি নাকি ও এসে জড়িয়ে ধরেছে? (আপু) ও এসে জড়িয়ে ধরেছে তুই বাধা দিলি না কেন? (আমি) আরে আজব তো ও হঠাৎ করে এসে জড়িয়ে ধরেছে আমি বাধা দিব কিভাবে,, ও আমার ছোট মামাতো বোন জড়িয়ে রয়েছে সমস্যা কি,,, তাই বলে তুমি আমাকে এভাবে থাপ্পর মারবা,, আমি ব্যথা পাই না বুঝি,, কথায় কথায় থাপ্পড় মারো? (আপু) এখন তো শুধু থাপ্পর দিয়েছি,, কালকে যদি দেখি,, ওর ওর সাথে তুই লেপ্টে কথা বলছিস,, তাহলে তোকে আমি কি করবো আমি নিজেও জানিনা? (আপু) ও আমার ছোট বোন ওর সাথে আমি ১00 বার কথা বলব তাতে তোমার লাগে কেন? (((একটু রাগ দেখিয়ে বলে ফেললাম))) হায় হায় এ কথা বলতে দেরি আমাকে টেনে বারান্দায় নিতে দেরি নাই?? (আমি) আরে কি করছো এভাবে ধরেছো আমি পরে যাবো তো নিচে? (আপু) তুই আমার সাথে মুখে মুখে তর্ক করিস,, এতক্ষণ বাইকে ছিলাম কিছু বলি নাই,,, এখন বল ফারিয়ার সাথে আর কথা বলবি নাকি,,, কি হল কথা বলিস না কেন,, তা না হলে সত্যি সত্যি এখান থেকে নিচে ফেলে দেবো? এই গুনডি মেয়ে দিয়ে বিশ্বাস নাই,, রেগে গেলে যে কোন কিছু করতে পারে,, আমি নিচের দিকে চেয়ে দেখি পিচঢালা রাস্তা আমি দুই তলা বারান্দায় একবারে কনারে দাঁড়িয়ে,, যদি একবার পড়ে যায় তাহলে আমি শেষ,, আমার সারা শরীর কাঁপতে লাগলো ভয়ে? (আমি) না না না আমি আর কারো সাথে কথা বলবো না আমার জন্ম না? (আপু) তাহলে ঠিক আছে এখন ছেড়ে দিলাম ,, খবরদার যদি আমার কথার বরখেলাপ করিস,, তাহলে সত্যি সত্যি দুই তলা ছাদ থেকে ফেলে দিব? (আমি) না না তোমার কথার বরখেলাপ হবে না,, আমার সারা শরীর অসাড় হয়ে আসছিল ভয়ে? (আপু) তাহলে ঠিক আছে এখন যেয়ে চুপচাপ ঘুমিয়ে পড়? এটা কি মানুষ না গুন্ডা,, গুন্ডি মেয়ে একটা আরেকটু হলে তো আমার জানটা চলে যেত,, বাইক দিয়ে আসার সময়,, কি ভালো ব্যবহারটা নাই করল,, যা বলেছি তাই করেছে,, আর এখন এসে আমার সাথে গুন্ডামি করছে,, তোর গুন্ডামি আমি শিখাবো দাঁড়া সুযোগ পেয়ে নেই,, আমি কথা বললে তোর কি তোর লাগে কেন,, আমাকে পছন্দ করিস আমাকে পছন্দ করলেও তোকে আমি পছন্দ করব না,, আমাকে কি পাগলা কুত্তা কামড়াইছে তোকে পছন্দ করে সেকেন্ডে সেকেন্ডে থাপ্পর খাবো আমি? (আপু) ঠাস সসস? (আমি) আবার মারলে কেন? (আপু) বিড়বিড় করে কি বলিস,, নিশ্চয়ই আমাকে বকা দিচ্ছিস? এই মেয়ে তো দেখি ভালো ইস্পাট,, বিড়বিড় করে কি বলি তাও জেনে ফেলে,, আর কিছু ঐ বলা যাবে না,, তাহলে মেরে ফেলবে আজকে আমাকে,, গাল দুইটা কে লাল করে ফেলেছে? (আমি) তোমাকে বকা দিব আমারে সাহস আছে নাকি? (আপু) তাহলে আমার সামনে বিড়বিড় করিস কেন,, একদিন না বলেছি আমার সামনে বির বির করবি না, যা বলবি স্পষ্ট বলবি? (আমি) আচ্ছা ঠিক আছে আর কখনো তোমার সামনে বিড়বিড় করবো না? (আপু) তাহলে ঠিক আছে এখন লাইট নিবিয়ে ঘুমিয়ে পড়? আপু চলে গেল আয়নার দিকে তাকিয়ে দেখি,, চোখ দিয়ে পানি চলে এসেছে,, এত জোরে কেউ থাপ্পর মারে নাকি,, এই মেয়ের তো দেখি শরীরে প্রচুর শক্তি? শাকচুন্নি তকে ও আমি দেখে নেব সুযোগ পেয়ে নেই,,, আমার থাপ্পড়ের হারে হারে প্রতিশোধ নিবো গুন্ডি কোথাকার? বিছানায় শুয়ে একটা ঘুম দিলাম,, এক ঘুমে সকাল ৯ টা,, ফারিয়ার ডাকে ঘুম ভাঙলো,, উঠে দেখি ফারিয়ার হাতে গরম কফি,, কফিটা নিয়ে বারান্দায় গেলাম,, নিচের দিকে তাকিয়ে আমার চোখ আটকে গেল,,, আপু একটা ছেলের সাথে নিচে দাঁড়িয়ে হেসে হেসে কথা বলছে,,,তার মানে আপু আমার অনেক আগে ঘুম থেকে উঠেছে,,আর এই ছেলেটার সাথে কথা বলছে ছেলেটা কে? আমি ফারিয়াকে ডাকলাম ফারিয়া আপু যে ছেলেটার সাথে কথা বলছে ছেলেটা কে? ফারিয়া দেখে বলল ভাইয়া এটা তো ইমন ভাই সিটি কলেজে পড়ে,,,, আমাদের পাশেই উনাদের বাড়ি? সুযোগ একটা পেয়েছি,,, শাকচুন্নি আমাকে থাপ্পর দেওয়ার মজা তোকে এখন বুঝাবো? (আমি)ফারিয়া ভাইয়া একটু দোকানে যেতে হবে? (ফারিয়া) কেন? ভাইয়া তো কাপড়চোপড় কিছু আনি নাই সাথে ব্রাশ ও আনি নাই,, ব্রাশ না করে নাস্তা করব কিভাবে? (ফারিয়া)ভাইয়া আমি দোকান থেকে এনে দেয়? (আমি)না তোমার কষ্ট করতে হবে না,,আমি ঐ যাচ্ছি,,,,মামানি জিজ্ঞাসা করলে বলবা যে একটু হাঁটতে গিয়েছি? (ফারিয়া)আচ্ছা? আমি সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামলাম,, দেখি এখনো দাঁড়িয়ে কথা বলছে,,, আমি আপুর সামনে দিয়ে এমনভাবে গেলাম,, যেন তাদের দুজনকে কথা বলতে দেখে আমি খুব রাগ করেছি,, চোখ দুটো লাল করে? আমি একটু সামনে যেতেই আপু পিছন থেকে ডাক শুরু করলো? (আপু) এই ফারাবি সকাল সকাল ঐদিকে কোথায় যাচ্ছিস? (আমি) আমি কোথায় যাচ্ছি তুমি তা জেনে কি করবে,, তুমি যাও যার সাথে হেসে হেলেদুলে কথা বলছিলে তার সাথে গিয়ে কথা বল? (আপু) কি বলছিস তুই)? (আমি) হ্যাঁ আমি সত্যিই ওই বলছি? (আপু) তুই ভুল বুঝছিস? (আমি) আমি কোন ভুল বুঝছি না,, তুমি আমার পিছনে পিছনে এসো না? (আপু) ঐ দাড়া আমার কথাটা তো শোন,, (আমি) আমি কিছু শুনতে চাই না,, তুমি যেয়ে ঐ ছেলের সাথে কথা বল,, একদম আমার পিছনে পিছনে আসবে না বলে দিলাম? (সাহস করে একটু ধমক দিয়ে বললাম) (আপু) তুই এমন করছিস কেন আমার কথাটা তো শুনবি? (আমি) আমি আপনাকে বললাম না আমি কিছু শুনতে চাই না,,, একদম আমার পেছনে পেছনে আসবেন না,,, আপনার যার সাথে খুশি তার সাথে গিয়ে কথা বলুন,, এতে আমার কোন কিছু শোনা দরকার নাই? এ বারা কাজ হয়েছে চেহারা কাঁদো কাঁদো হয়ে গিয়েছে,, এখনিই বুঝি কেদেঁ দিবে,, চেহারার মাঝে কালো মেঘের খন্ড এসে জমা হয়েছে? এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে আবার বিড়বিড় করে কি যেন বলছে,, হয়তো বলছে পিচ্চি তো দেখি আজকে ভুল বুঝে সত্যি সত্যি অনেক রেগে গিয়েছে,, আর না হয় বলছে,, পিচ্চি তোর তো সাহস কম না,,, আমার সাথে রেগে কথা বলিস তোর সবগুলোর দাঁত আমি থাপড়ায়া ফালাবো,,, জানিনা কোনটা বলছে? কিন্তু আমার কাজ হয়েছে এখন শাকচুন্নি বুঝবা,, কথায় কথায় আমাকে থাপ্পর দেওয়ার মজা কি,,, কালকে রাতের থাপ্পরের কথা আমার এখনো মনে আছে,, তার হিসাব আমি গণ্ডায় গণ্ডায় গুনে গুনে নিব,, আমি আপুর থেকে একটু দ্রুত হেঁটে দোকানে গেলাম দোকান থেকে একটা ব্রাশ নিয়ে সোজা বাসায়,,, বাসায় গিয়ে দেখি খানের টেবিলে সবাই ওয়েট করতেছে আমার জন্য,, আমি ফ্রেশ হয়ে এসে খানার টেবিলে বসলাম,,আপু ও আছে মুখ গম্ভীর করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে,,, আমি তাকালাম না তার দিকে একবারও,,,, আমি অল্প নাস্তা করে উঠে পড়লাম,,, আমি রুমে গিয়ে একটু রেষ্ট নিলাম,, আপু আমার রুমে ঢুকবে এমন সময় আমি তার দিকে না তাকিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে পড়লাম,,,আপু পিছন থেকে আমাকে ডাকতেছে,, কিন্তু কে শোনে কার ডাক,,,, আপু হয়তো অবাক হয়েছে,, আমার এমন রাগ দেখে? জানিনা ওই সময় আপুর চেহারার অবস্থা কি হয়েছিল? আমি ২ ৩ ঘন্টা বাইরে ঘোরাঘুরি করে নানুর ফোন পেয়ে বাসায় গেলাম,,,২ ৩ ঘন্টার ভিতরে আপু ১০ ১২ ফোন দিয়েছিল,, একটাও ও ধরি নেই আমি আমার রুমে ঢুকবো এমন সময় ফারিয়া এসে বলতে লাগলো? (ফারিয়া) ভাইয়া আপুর কি হয়েছে,,, ২ ৩ ঘন্টা ধরে রুমে বসে কান্না করছে,, আর তোমাকে খুঁজছে,, তোমাকে ফোন দিয়েছে অনেক তুমি ধরোনাই কেন,, কি হয়েছে আপুর,, আমি আপুকে জিজ্ঞাসা করেছি আপু আমাকে কিছু বলে নাই? (আমি) তুই হেতের কথা বাদ দে হেতের কথা আর কাছে কইছনো, হেতে আরে থাপ্পর দিতে ফারলে ভালা,, ২ ৩ ঘন্টা ধরে হেতে আরে থাপ্পর দিত ফারে নাই তো, এল লাই হেতের মন হারাপ? (ফারিয়া) কি বলছ এসব ভাইয়া? (আমি) হ্যাঁ ঠিক বলছি,, তুই আমার সাথে যাবি বাইকে ঘুরতে? (ফারিয়া)এখন বিকালে য়ায়? (আমি)না বিকালে না কারণ বিকালে আমি চলে যাব,,এখন গেলে বল? (ফারিয়া)হ্যাঁ যাব? (আমি)তাহলে চল? আমি বাসার গেট থেকে বাইক টা বের করে ফারিয়া কে বললাম উঠ,, ফারিয়া বাইকে উঠে বসলো,, আমি পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখি,, আপু বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে, আমাদের দিকে পলকহীন দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে,,, চেহারা টা একবারে কালো হয়ে গিয়েছে,, আমি আপুকে দেখিয়ে ফারিয়াকে বললাম,,, ফারিয়া ভাইয়া বাইক জোরে টান দিলে তুই পড়ে যাবি,, ভাইয়াকে শক্ত করে ধর,, ফারিয়া শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে,,, আমি আপুর দিকে তাকায় নাই,, বাইকে জোরে টান দিলাম,,, আপু হয়তো আমাকে পেলে আস্ত গিলে ফেলবে? শাকচুন্নি পেত্নী এবার বুঝ মজা,, আমাকে কথায় কথায় থাপ্পড় দেওয়া,, বের করব তোমাকে গুন্ডি একটা,, বাইক ৪ ৫ মিনিট চলার পরে একটা ফোন আসলো,, বাইকটা সাইড করে ফোনটা রিসিভ করলাম হায় আল্লাহ এতো দেখি আপুর ফোন,,, ফোন রিসিভ করে আমি কিছু বললাম না শুধু কান্নার আওয়াজ পাচ্ছি? (আপু)তুই আমাকে এভাবে কষ্ট দিচ্ছিস কেন,, তুই আমার কথাটা তো একবার শুনবি,,তুই আমার কথা না শুনেই ফারিয়াকে নিয়ে চলে গেছিস? (((কেঁদে কেঁদে)) (আমি) কি কথা বলবা বল? (আপু) তুই ফারিয়াকে নিয়ে এখনি বাসায় আসবি? (আমি)না আসবনা? (আপু) তুই না আসলে আমার রাগ সম্পর্কে তুই জানিস,, আমি কি করবো আমি নিজেও জানিনা? (আমি) কিচ্ছু করবেনা আমি আসছি,, হায় আল্লাহ এখন গেলে এই মেয়ে আবার আমাকে কি করে কে জানে,, কিল্লাই আই রাগ করে ফারিয়াকে বাইকের পিছনে তুললাম,, গুন্ডি মেয়ে তো মনে হয় আজকে আমাকে শেষ করে দেবে?

(((((চলবে)))))


Tags: , , , , , , , , ,

Comments are closed here.