এক্স গার্লফ্রেন্ড যখন বস (পর্ব-০৫)

January 12, 2021 | By Admin | Filed in: চটি কাব্য.

এক্স গার্লফ্রেন্ড যখন বস (পর্ব-০৪)

গল্প – এক্স গার্লফ্রেন্ড যখন বস
পর্ব – ০৫
———————————–

নেহাঃচল মিমি আজ আর কলেজে বেশিক্ষণ থাকা যাবে না
মিমিঃহ্যা রে চল

তারপর তারা বাড়িত যাবার পর

মিমির বাবাঃকি মামুনিরা আজ তারাতাড়িই কলেজ থেকে চলে আসলে যে
নেহাঃতেমন কিছু না মামা
মিমিঃতোমরা কথা বলো আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি
মিমির বাবাঃওকে
মিমি বাবাঃতোমাদের এক্সামের আর কতদিন বাকি আছে
নেহাঃবেশি দিন আর নেই হাতে মাত্র ১ মাসের মতো সময়,
মিমি বাবাঃহুমম তাহলে এই মাসে তোমাদের কি করতে হবে
নেহাঃভালো করে পড়তে হবে
মিমি বাবাঃহুমম ভালো করে পড়তে হবে। যদি ভালো করে না পড়ো তো
নেহাঃতাহলে আর কি করার আগের স্থানেই থাকতে হবে।
মিমি বাবাঃহুমম তোমার আর মিমির জন্য ভালো একটা গিফট আছে
নেহাঃকি গিফট মামা
মিমি বাবাঃগিফট টা পাবে তোমাদের এক্সামের পর
নেহাঃমামা আমাদের গিফট এখনই লাগবে
মিমি বাবাঃতাহলে তো হচ্ছে না।তোমাদের দুই জনের পরীক্ষা রেজাল্ট দেখে তারপর গিফট দিবো।
নেহাঃআচ্ছা ঠিক আছে (বলে চলে যাবে এমন সময়)

মিমির বাবাঃনেহা….
নেহাঃজ্বি মামা
মিমির বাবাঃমা আজ একটা সত্য একটা কথা বলবা
নেহাঃহ্যা মামা বলেন
মিমির বাবাঃমিমি আর রনি কি শুধুই ফেন্ড
নেহাঃইয়ে মানে(মামা কেমনে জানলো এসব)
মিমি বাবাঃতুতলাচ্ছো কেন বলো
নেহাঃনা তেমন কিছু না
মিমির বাবাঃতাহলে বলো
নেহাঃমা আমাকে ডাকছে(মিথ্যা বলে এড়িয়ে
যেতে চাইলো)
মিমি বাবাঃনেহা আমার কাছে না লোকিয়ে সত্যটা বলো
নেহাঃমামা তেমন হইনি (মামা যদি সব জেনে যাই তাহলে তো তাদের সম্পর্ক ভেজ্ঞে যাবে)
মিমির বাবাঃতোমার মামার মাথাই হাত রেখে যদি বলতে পারো
তাহলে বিশ্বাস করব। (বলে নেহার হাত মাথাই রাখল)
নেহাঃ….(এখন সত্য না বলে উপায় নেই)
নেহাঃ……
মিমি বাবাঃনেহা মা আমার সত্যটা এবার বলো প্লিজ
নেহাঃআচ্ছা ঠিক আছে বলছি।(তারপর নেহা বাধ্য হয়ে সব কিছু বলে দিলো)
মিমির বাবাঃকাল রনির সাথে আমাকে সাক্ষাৎ করিয়ে দিতে পারবে(প্রথমে যা ভেবেছিলাম তাই হলো)
নেহাঃজ্বি মামা পারব
মিমির বাবাঃ মিমি যেন এসব কথা কিছুই না জানতে পারে। আমরা এমন একটা ভাব করব যেন কিছুই জানি না
নেহাঃঠিক আছে(সরি মিমি আমাকে ক্ষমা করে দিস)

তারপর দিন ……

কলেজের মাঠে বসে class of clean গেম খেলছিলাম আশরাফের সাথে এমন সময় নেহা আসলো

নেহাঃরনি তোর সাথে কিছু কথা আছে
আমিঃপরে শুনব এখন বিজি আছে(গেম খেলেই যাচ্ছি)
নেহাঃউঠ বলছি(ফোন কেড়ে নিয়ে)
আমিঃআরে কি করছিস ফোনটা দে
নেহাঃউঠ কথা আছে
আমিঃআচ্ছা ঠিক আছে বল
নেহাঃএই দিকে আই( বলে ফাকা জায়গাই নিয়ে গেলো) আমিঃকোথায় নিয়ে এলি আবার(হঠাৎ লক্ষ্য করলাম মিমির বাবা এখানে দাড়িয়ে আছে)
নেহাঃ….
আমিঃমিমির বাবা এখানে কেন (নেহাকে উদ্দেশ্য করে)
নেহাঃচল সব বুঝতে পারবি

তারপর

মিমির বাবাঃতোমার নাম তো রনি
আমিঃজ্বি আংকেল
মিমির বাবাঃনেহা মা তুমি কলেজে একটু ঘুরে আসো
নেহাঃজ্বি মামা (বলে নেহা চলে গেলো)
মিমির বাবাঃমিমির সাথে তোমার কত দিনের সম্পর্ক
আমিঃ….(এনি কেমনে জানল এসব কথা)
মিমির বাবাঃকি হলো বলো
আমিঃইয়ে মানে দু….ব..ছ র(তুতলিয়ে)
মিমির বাবাঃদুই বছরে সম্পর্ক তাই তো
আমিঃজ্বি আংকেল
মিমির বাবাঃতুমি কি জানো তুমি কার সাথে দারিয়ে কথা বলছো(রেগে)
আমিঃ….(মাথা নিচু করে)
মিমির বাবাঃতুমার বাবার কি করেন
আমিঃকৃষি কাজ করেন
মিমির বাবাঃতুমি কি করো
আমিঃলেখাপড়া করছি
মিমির বাবাঃতারপর কি করবে
আমিঃআংকেল এসব জেনে কি হবে
মিমির বাবাঃযা বলছি তার উত্তর দাও বলো কি করবে
আমিঃচাকরি করবো
মিমির বাবাঃযদি চাকরি না হই তাহলে তো তোমার বাবার কাছে টাকা নিয়ে চলতে হবে তাই তো
আমিঃনা মানে আংকেল (কথা থামিয়ে)
মিমির বাবাঃএতক্ষণ যে কথাগুলো বলছিলাম তার মানেটা হইতো বুঝতে পারছো কেন এসব বলছি
আমিঃsorry বুঝতে পারি নাই আংকেল কেন এসব বলছেন

মিমির বাবাঃবলতে চাচ্ছি যে তোমাদের রিলেশনটা আমি মানছি না
আমিঃকেন আংকেল
মিমির বাবাঃকারন তো প্রথমেই দেখিয়ে দিলাম
আমিঃআংকেল আমি মিমিকে অনেক ভালোবাসি আর মিমিও আমাকে অনেক ভালোবাসে। কাজেই আমাদের সম্পর্কটা মেনে নিন(হাত জুর করে)
মিমির বাবাঃএতক্ষণ ভদ্র ভাবে বুঝলাম
আর আমি আশা করছি তুমি সব বুঝতে পারছো
আমিঃআংকেল এ হই না
মিমির বাবাঃতোমার কি যোগ্যতা আছে হ্যা

পারবে বিয়ে করে তার ভারপোসুন পালন করতে
আমিঃজ্বি আংকেল পারব
মিমির বাবাঃমিমি একদিনে যা টাকা উরাই সে টাকা দিয়ে তোমাদের সংসার ১মাস দিব্যি ই চলে যাবে। তাহলে কি পারবে মিমির বিলাস বহুল সুখ দিতে
আমিঃ……
মিমির বাবাঃআমি জানি সেটা পারবে না
আমিঃআংকেল টাকাই কি সব সুখ দিতে পারে
মিমির বাবাঃহ্যা সব কিছুই দিতে পারে।যার কাছে টাকা আছে তার কাছে সব আছে।
আমিঃআংকেল আমাদের অবস্থা ভালো না দেখে এমন কথা বলছেন
মিমির বাবাঃ…….
আমিঃআংকেল আপনি একবার ভালোভাবে ভেবে দেখুন টাকাই কি সত্যিকারের সুখ দিতে পারে
মিমির বাবাঃতাহলে আমি একটা কথা বলব আগে বলো সেটা রাখবে
আমিঃআচ্ছা ঠিক আছেন বলুন

মিমি বাবাঃমিমিকে ভুলে যাও
আমিঃআংকেল কি বলছেন এসব আমাদের দুই বছরের সম্পর্ক। আর আপনি বলছেন আমি মিমিকে ভুলে যাবো
মিমির বাবাঃহ্যা ভুলে যাবে কারন আমি চাই না তোমার লাইফের সাথে জড়িত হয়ে মিমির লাইফ নষ্ট হক
আমিঃআংকেল মিমিও আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে না
মিমির বাবাঃ,এসব নাটক সিনেমার কথা বাদ দিয়ে বাস্তবতার কথা ভাবো। জীবনটা নাটক সিনেমা না।
আমিঃআংকেল আপনি ভুল ভাবছেন

মিমির বাবাঃকোন্টা ভুল আর কোনটা সঠিক আমাকে শিখাতে এসো না। আমার মেয়ের ভালোর জন্য কি করতে হবে তা আমার জানা আছে..?
আমিঃসরি আংকেল আমি পারব না মিমিকে ভুলতে। এছাড়া যা করতে বলবেন তাই করব
মিমির বাবাঃআসলেই তুমি একটা লোভি ছেলে
আমিঃমানে
মিমির বাবাঃমানেটা খুব সুজা..! তুমি মিমিকে মিথ্যা ভালোবাসার জালে ফেলে তার সম্পত্তির মালিক হতে চাচ্ছো(ব্যাকমেল করে)
আমিঃআংকেল এসব কি বলছেন…!আমি তো কখনো এসব ভেবেই দেখিনি
মিমির বাবাঃতাহলে তার একটা প্রমাণ দেখিয়ে দাও
আমিঃআপনি কি প্রমাণ চান
মিমির বাবাঃতুমি যদি মিমিকে সত্যিই ভালোবেসে থাকো তাহলে তার সাথে কোনো যোগাযোগ রাখবে না। আর যদি যোগাযোগ রেখে যাও তো আমি ভেবে নিবো তুমি মিমিকে না তার সম্পত্তির জন্য তার পিছু নিচ্ছো(উল্টো পেজ মেরে)
আমিঃ…..(এখন আমি কি করব)
মিমির বাবাঃআমি জানি তুমি পারবে না।
আমিঃআংকেল আমি গরিব হতে পারি কিন্তু স্বার্থপর না।আমিও আপনাকে দেখিয়ে দিবো যে আমি স্বার্থপর না।এর জন্য আপনার কথাই রাখলাম

মিমির বাবাঃভুলেও যেন মিমি আমাদের কথা না জানতে পারি
আমিঃআচ্ছা ঠিক আছে তাই হবে। তবে আংকেল আপনিও একদিন বুঝবেন আমি মিমিকে সত্যিই ভালোবেসেছিলাম তার সম্পত্তিকে না।

…..
[চলবে..]


Tags: , ,

Comments are closed here.