সিনিয়র আপু যখন বউ (পর্ব-২০)

December 29, 2020 | By Admin | Filed in: চটি কাব্য, সিনিয়র আপু যখন বউ.

সিনিয়র আপু যখন বউ (পর্ব-১৮)

View all stories in series

★ আমার ঠোটে হাত দিয়ে দেখি রক্ত,,,, হঠাৎ করে ঠোঁটটা ব্যাথা করতে শুরু করেছে””” তার মানে আমি বুঝতে পেরেছি? শাকচুন্নি আমার ঠোঁটে কামড় বসিয়ে দিয়েছে? খুব জ্বলতেছে,,, শাকচুন্নি তোকে আমি পরে মজা বুঝাবো””” এখন আম্মুর হাত থেকে কোন মতে বাঁচি।
★আমি আম্মুকে বললাম ও কিছু না,, (আম্মু) কে বলল কিছু না এদিকে আয় আমি দেখি,, আমি ভয়ে ভয়ে আস্তে আস্তে আম্মুর কাছে যাচ্ছি,,,, ততক্ষণে আপু ঘুম থেকে উঠে বসেছে,,,, আমি শাকচুন্নির দিকে খেয়াল করে দেখি শাকচুন্নির ঠোঁটেও রক্ত,,,, হায় আল্লাহ দুজনে ঠোঁটে ওই রক্ত,,, আজকে তো আম্মু কাছে ধরা পড়ে গেছে গ্যারান্টি?
★ আমি হাত দিয়ে রক্ত টা মুছতে মুছতে আপুকে ইশারায় বুঝালাম তোমার ঠোঁটে রক্ত,,, কিন্তু শাকচুন্নি আমার ইশারা করা ভাষা বুঝে না,,,, শুধু আমাকে মাথা দিয়ে বোঝাচ্ছে কি হইছে,,,, আমি আবারো তাকেই ইশারাই বুঝালাম তোমার ঠোঁটে রক্ত তাড়াতাড়ি মুচ,,,,, শাকচুন্নি এবারও কথা বুঝে নাই,,, আজকের শাকচুন্নির কারণে আম্মুর কাছে ধরা পড়তে হবে? এবার আমি একটু রাগি লুক নিয়ে আঙ্গুল দিয়ে তাকে বোঝালাম? সে এবার বুঝতে পেরেছে,,, সে তার ঠোটে হাত দিয়ে দেখতে পেলে রক্ত,,,, সাথে সাথে বিছানার চাদর দিয়ে রক্ত টা মুছে ফেলল,,,, তারপর আমাকে ইশারা করে বোঝালো রক্ত আছে,,,, আমি তাকে বললাম না? ★ আমি আমার ঠোঁটের রক্ত টা হাতের উল্টোপিঠ দিয়ে মুছে আম্মুর কাছে গিয়ে দাড়ালাম,,, আম্মু আমার ঠোটে হাত দিয়ে তোর ঠোঁট কেটেছে কিভাবে,,,, ★ বাথরুমে সিলিপ খেয়ে পড়ে গিয়েছিলাম((( ঠাডাপড়া মিছা কথা))) (আম্মু) এত বড় ছেলে বাথরুমে সিলিপ খেয়ে পড়ে যায়,,, আচ্ছা ঠিক আছে তুই যেয়ে মলম লাগিয়ে নে? আমি বড় একটা নিঃশ্বাস ফেলে ওখান থেকে চলে আসলাম,,, আমি আমার রুমে ঢুকে ড্রেসিংএর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখি বেশ খানিকটা কেটে গেছে,,,, আমি ঠোটে মলম লাগিয়ে নাস্তা করতে চলে গেলাম,,, দেখি আম্মু আপুর রুম থেকে বাহির হইতেছে,,,, আম্মু আমার দিকে এক দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে,,,, আম্মু হয়তো বুঝতে পেরেছে কিছু,,, আমি চুপচাপ নাস্তা করে আমার রুমে চলে যাচ্ছি? ★ আম্মু আমাকে ডাক দিল,,, কোথায় যাচ্ছিস,,,,,, রুমে যাচ্ছি,,,, বাজারে যাবি না,,,, আম্মু তুমি জান আমি বাজার করতে পারি না,,,, না পারলেও আজকে তোকে বাজার করতে হবে,,, আম্মু তুমি বুঝতে পারছ না আমি বাজারে গেলে,,, বলবা একটা আনার জন্য নিয়ে আসবো অন্যটা,,, আর কোনটার দাম কত এটাও তো আমি জানি না? (আমমু)তুই দাম জেনে কি করবি তুই কি সবজির ব্যবসা করবি,,, তুই যেয়ে জিজ্ঞাসা করবি কোনটা কত,,, আর আমি এখানে বাজারের লিস্ট দিয়ে দিয়েছি কি কি আনবি? (আমি) হুম বুঝলাম,,, আচ্ছা আমি যদি দাম জিজ্ঞাসা করি,,, যদি আমাকে বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলে? (আম্মু) তোকে বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলবে কেন,,, যদি বাড়িয়ে ও বলে তাহলে দেখবি আরো অনেক লোক কিনতেছে ওদের কে জিজ্ঞাসা করবি? (আম্মু) আমি যদি খালি লোকেরারে জিজ্ঞাসা করি তাহলে আমি বাজার করব কোন সময়? (আম্মু) তোকে নিয়ে আর পারা যাবে না,, এত বড় ছেলে হয়েছিস এখন যদি বাজার টা করতেন না পারিস,,, তাহলে পরে কি করবি? হঠাৎ করে আপু কন্ঠ শুনতে পেলাম,,, কি হয়েছে খালা মনি? (আম্মু) দেখ না ওরে বলতেছি বাজার করার জন্য,,, ও বলে বাজার করতে পারবো না এত বড় ছেলে বাজার করতে বলে পারবে না? (আপু) আচ্ছা ঠিক আছে খালামণি আমি ওর সাথে যাবো? (আমি) আরে কি বলতেছ মেয়ে মানুষ কখনো বাজারে যাই,,, ছি: ছি: সারে লোক তাকিয়ে থাকবে তোমার দিকে দরকার নেই,,,? (আপু) আমি বোখরা পড়ে যাব? (আমি) দরকার নাই আমি একাই যেতে পারবো? (আম্মু) ও গেলে সমস্যা কি “”””তুই যেহেতু কখনো বাজার করিস নাই,,,, আজকে ঈশিতার সাথে গিয়ে দেখে আয় কিভাবে বাজার করতে হয়? আমি আর কিছু বললাম না,, শাকচুন্নি ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করলো,,সকাল 7 টা বাজে,, শাকচুন্নি নাস্তা শেষ করে আমাকে বলল,,, চল আমাদের বাসায়,,,,, এখন তোমাদের বাসায় গিয়ে কি করব,,,, আমি কি এখানে কাপড়-চোপড় নিয়ে আইছি,,, বোখরা পড়বো না,,,, ★ আচ্ছা ঠিক আছে চলো,, বাজারের লিস্ট নিয়ে,, রিসকায় চেপে আপুদের বাসায় পৌঁছলাম,, আমি আপুদের বাসার গেটের সামনে রিসকায় বসে আছি,, আপু ভিতরে গেল? কিছুক্ষণ পরে আসলো,,, আমি আপুকে দেখে রাগ উঠে গেলো,,, এটা কি পড়েছে,,, এরকম বোকরা তো আমি কখনো দেখি নাই,, এটা কে কী বোখরা বলে,,,, বডি টাইট ফিটিং,,,, শরীরের অঙ্গ পতঙ্গ যা আছে সব দেখা যাচ্ছে,,, রিস্কা চালক আপুর দিকে তাকিয়ে আছে,,, আমি রিস্কা চালককে ধমক দিয়ে বললাম,,, মামা নিচে দিকে তাকান? রিস্কা চালক আমার দিকে ঘুরে তাকালো,,, আমি একটা রাগী লোক নিয়ে রিস্কা চালক এর দিকে তাকালাম,,,,,, রিস্কা চালক ভয় পেয়ে গেল? ★ আপু কাছে এসে রিস্কায় উঠতে যাবে,,, আমি বললাম দাঁড়াও রিসকায় উঠবে না,,, কেন কি হয়েছে,,,,,, রিসকা থেকে নেমে তার হাত ধরে টেনে একটু সাইডে নিলাম,,,, এটা কি পড়েছো? কেন কি হইছে? কি হইছে মানে তুমি নিজেকে আয়নায় দেখো নাই? হ্যা দেখছি তো কেন কি হইছে? যে বোখরা পড়েছ এটাকে কি বোখরা বলে,, শরীরের অঙ্গ পতঙ্গ যা আছে সব দেখা যাচ্ছে,,,ছি:,,, রিস্কা চালক তোমার দিকে কি ভাবে তাকিয়ে ছিল তুমি জানো? বদমাশ ছেলে একদম বাজে কথা বলবি না? ★ আমি কোন বাজে কথা বলি নাই যাও এটা চেঞ্জ করে আসো,,, আর এরকম বডি ফিটিং টাইট বোখরা কখনো পড়বে না,,, আর এটাকে আজকেই আগুনে পুড়ে ফেলবা,,, কি বলিস এত দামি বোখরাটা পুড়ে ফেলবো,,, এটাকে বোখরা বলে বোখরা কে অপমান করো না,,,, আর দামি হইছে তো কি হইছে,, এর চেয়ে 3 গুন দামি বোখরা এনে দিবো? (আপু)কিসের চাকরি করেন স্যার আপনি? (আমি)এখানে চাকরি আসলো কোথা থেকে? আপু)না আপনি যে বললেন এর চেয়ে তিনগুণ দামে বোখরা কিনে দিবেন কত টাকা বেতন আপনার? আমি)আমার চাকরি বা বেতন দিয়ে কি করবে,, আমার বাবার যা আছে তা আমার বউ বাচ্চা-কাচ্চা আজীবন খেয়ে যেতে পারবো,, আর কিছুদিন পরে তো,,, আমার একমাত্র বউয়ের বাপের টাকা পয়সা সব আমারই হবে?? আপু একটু মুচকি হেসে বদমাশ ছেলের স্বপ্ন কত দেখো? আচ্ছা ঠিক আছে এখন যাও এটা তাড়াতাড়ি চেঞ্জ করে আসো,,,, আপু ভিতরে চলে গেল,,, আমি রিকশায় বসে আছি,, 10 মিনিট পরে একজন মহিলার রিসকায় উঠতে চাচ্ছে,,, আমি আশ্চর্য হয়ে মহিলাকে বললাম,,, আন্টি কি করছেন,,, আমি রিকশায় বসে আছি আপনি দেখতে পাচ্ছেন না ,,, সাথে সাথে মহিলাটি মুখের পর্দাটা সরানো,,, হায় আল্লাহ আমি শেষ এটাতো আপু? বদমাশ ছেলে কি বললি আমি আন্টি,,, সরি সরি ভুল হইছে,,, আমি আসলে চিনতে পারি নাই,,, কিভাবে চিনবো মাথা থেকে পা অবধি সম্পূর্ণভাবে ঢাকা বোখরা হাতে পায়ে মৌজা,,, এরকম বোখরা পড়লে মেয়েলোক কোন বয়সের কত বয়সে তা বোঝা যায় না,,, ওই জন্যই তো আমি ঐ বোখরা টা পড়েছিলাম,,? ওই বোখরার কথা মুখে ও আনবে না?? এখন যে বোখরা পড়েছ কোন জায়গায় যাওয়ার প্রয়োজন হলে এ বোকরা টা পড়ে যাবা,,, আমি যখন তোমাকে ছিনতে পারিনি তাহলে কেউই তোমাকে চিনতে পারবে না? ★ আচ্ছা ঠিক আছে ওই বোখরা পড়বো না? এখন তো চল? রিস্কা চলতে শুরু করল,, আপু আমার সাথে একবারে গায়ের সাথে গা ঘেঁষে বসেছে,,, সিক্ত সকালের মন দুর্বল করা সচ্ছল নব পূর্ণ আবহাওয়া, হালকা রোদেলা বাতাস,, উষ্ণতার সেই আবেশে ভরা মায়ায় ভরা সকালে রবির কিরণ যখন হালকা উকি দিই,, এরকম সকালটাকে দেখতে মনে হাজারো অনুভূতি এসে জড়ো হয়,,, কখনো এত সকালে উঠি নাই,,, প্রকৃতি তাকেও এরকম ভাবে দেখি নাই,,, সকালের জনমানবহীন হালকা সন্য রাস্তায়,, রিস্কার মাঝে আমি আমার সিনিয়র প্রিয়সি আমার সাথে,,, মনের ভিতর এক অজানা ভালো লাগা কাজ করছে,,, ইচ্ছে করছে সিনিয়র পড়শীর হাতটা ধরে বাজারে অব্দি যাওয়ার জন্য? আমি আনমনে হয়ে কিছু ভাবতে লাগলাম,,, আমার হাতটা কেউ শক্ত করে চেপে ধরেছে,, আমি তাকিয়ে দেখি আপু তার হাতের মৌজা সহ করে আমার ডান হাতটা শক্ত করে চেপে ধরেছে,,,, আমি তাকানোর সাথে সাথে আপু তার হাতের মোজাটা খুলে ফেললো,,, তারপর তার নরম উষ্ণন হাতটা আমার হাতের উপর রাখল,,, আমি তার পাঁচটা আঙ্গুলের ভিতর আমার পাঁচটা আঙ্গুল চেপে ধরেলাম,,, হালকা জুড়ে চাপ দেওয়াতে শাকচুন্নি ওহ করে উঠলো? কি হল ব্যাথা পেলি নাকি? শয়তান ছেলে এত জোরে কেউ চাপ দেয় দিল ? আজকের সকালে তুমি আমাকে এটা কি করলে? কি করলাম? তুমি আমার ঠোঁটে এভাবে কামড় বসিয়ে দিয়েছো কেন? আমি কি করবো আমি কি ঐ সময় বুঝতে পেরেছি নাকি? আচ্ছা আম্মু তোমাকে কিছু জিজ্ঞাসা করেছিল? জিজ্ঞাসা করবে? সকালে আমার দুটো রক্ত ছিল তোমার দুটো রক্ত লেগে ছিল,,, আমি তোমাকে বারবার ইশারায় বুঝাচ্ছি তোমার ঠোঁটের রক্ত,,,, কিন্তু তুমি বুঝতে পারছনা,,, আরেকটু হলেই তো ধরা পরে যেতাম? ধরা পড়লেই ভালো হতো? কি বলতেছ তুমি? হ্যা খালামণির জানতে পারত তার পর সব সমস্যার সমাধান হতো? যদি জানার পর আমাদের সম্পর্ক না মেনে নেই”” কেন মানবে না,,,, না মানলেও আমি তোকে ছাড়া থাকতে পারবো না,,,,, আচ্ছা ধরো আমি তোমার জীবন থেকে হারিয়ে গেলাম,,, এ কথা বলতে দেরি আমার হাতে এমন ছুড়ে এক চাপ দিয়েছে আমিও মাগো করে উঠলাম,,,,, শাকচুন্নি এত জোরে কেউ চাপ দে,,,, একথা দ্বিতীয়বার মুখে আনবি না,,,, যদি এই কথা আর কোনদিন মুখে আনিস তাহলে আমি সুই সুতা দিয়ে তোমার মুখ সেলাই করে দিব? আচ্ছা ঠিক আছে আনবো না? আমি আপুর হাত ধরে আছি,, কিছুক্ষনের ভিতর বাজারে পৌঁছে গেলাম,,,, রিস্কা থেকে নেমে রিস্কা ভাড়া মিটিয়ে বাজারের ভিতরে ঢুকলাম,,,, হঠাৎ করে মনে হলো হায় হায় বাজারের ব্যাগ কোথায়,,,, আমি আপুকে বললাম বাজারের ব্যাগ ছাড়া কিভাবে নিবে,,, লুঙ্গি তো আনি নাই? লুঙ্গি দিয়ে কি করিবে,,, বাজার নেবে কিভাবে এখন ব্যাগ ছাড়া,,, পাগল বাজারের ব্যাগ অভাব আছে,,,, 1 ঘন্টা ঘুরাঘুরি করে বাজার করলাম,,, আমি করি নাই আপু করলো,,,, আরে বাপরে বাপ যেভাবে লোকের সাথে পটাপট কথা বলে,,,, আমি জিন্দেগীতেও বলতে পারবো না,,,, দুইটা ব্যাগ আমার হাতে ধরিয়ে দিয়েছে আমি তার পেছনে পেছনে থাকি,,,,, তা ছাবানের দাম জিজ্ঞাসা করে,,, ভাই এগুলা কত করে,,, এগুলা ম্যাডাম ৬০ টাকা? ওরো মিয়া মিথ্যা বলেন কেন,, ওই জায়গায় বিক্রি করে 50tk আর আপনি বলেন 60 টাকা,,, আপু 50 টাকা বলে চলে আসছে,,,, পিছন থেকে ওই লোক ডাকতে লাগলো,,, ম্যাডাম নিয়ে যান,,,,, তারপর আপু নিল,,, আমি আপুকে জিজ্ঞাসা করলাম ওই জায়গায় 50 টাকা তুমি কিভাবে বুঝলে তুমি কি জিজ্ঞাসা করেছো,,,, আরে এমনি ফাফর দিলাম আর কি,,, আচ্ছা ঠিক আছে দাড়াও ওই লোকের কাছে জিজ্ঞেস করি,,, আমি আরেকটা লোকের কাছে গিয়ে বললাম,,, ভাই এগুলা কি 60 টাকা করে দিবেন না,,,,, ওই দিক বলতেছে ক কেজি লাগবে আপনার? টাচ করে পেছন থেকে মাথায় একটা টুস দিল,,, দেখি আপু টুস দিলে কেন,,, শয়তান ছেলে 60 টাকা করে দিবেন না বলে,,,, এখন ওই লোক যদি দিয়ে দেই,,, দিলে নিয়ে নেব 60 টাকা করে,,, তুই আস্তা মারা একটা গাঁধা? 50 টাকা করে কিনে এখান থেকে 60 টাকা করে কিনব কেন,,,, আমাদের বাজার করা প্রায় শেষের দিকে? চলে আসবো আপু বলল কুদু নিবি? আমি বললাম কুদু আমি খেতে পারি না,,, আরে ভালো জিনিস,, টাকি মাছ দিয়ে পাক করলে অনেক ভালো লাগে,,,, আচ্ছা ঠিক আছে নাও,,,, আপু গিয়ে বলল,,,, ভাই এই কুদু টার দাম কত ঐ লোক বললো ৮০ টাকা,, তুরো মিয়া বড়ো হয়ে গেছে কুদু ৮0 টাকা কিভাবে,,, এটাতো 30 টাকা বিক্রি হবে না? ঐ লোক বললো ম্যাডাম একদাম 80 টাকা বিক্রি করব? আচ্ছা ঠিক ৮০ না ১০০ টাকা বিক্রি করেন ? ঐ লোক বললো ম্যাডাম আপনি কত দিবেন? আমি আপনাকে যত বললাম তত দিব? কত বললেন ম্যাডাম? কেন আপনাকে বললাম না 30 টাকা? আমি আপুকে বললাম এই লোক আরো বেশি দামে বিক্রি করবে চলে যাই,, আপু আমার দিকে রাগী লুক নিয়ে তাকাল? আমি ভয় পেয়ে গেলাম? আপু আর আমি চলে আসতেছি ওই লোক ডাকতে লাগলো ম্যাডাম আর দশ টাকা দিয়েন? আপু বলল না,,, আমি আপুকে বললাম আরে 10 টাকা দিয়ে দেব,,, আমাকে বলে তুই চুপ থাক আমি চুপ হয়ে গেলাম? শেষ পর্যন্ত ৩০ টাকা ঐ় বিক্রি করলো? আমিতো অবাক হয়ে গেলাম,,, ওই লোক 80 টাকা বলে 30 টাকা কি করে বিক্রি করে কিভাবে,,, আমাকে যদি 80tk টাকা বলতো তাহলে আমি 70 টাকা দিয়ে নিয়ে নিতাম? বাজার শেষ করে রিসকা করে বাসায় পৌঁছলাম আম্মুর কাছে বাজার দিয়ে আমি আমার রুমে চলে গেলাম?,, আম্মু আর আপু বাজার সম্পর্কে কথা বলতেছে,,, কিছুক্ষণ পরে আপু এসে বলল আমি বাসায় যাই রে? তুই দুপুরে আমাদের বাসায় আসিস? আমি বললাম ভার্সিটিতে যাবানা? না আমার জন্মদিনের পরে যাব? আচ্ছা ঠিক আছে? তুই যাবি নাকি? হ্যা যেতাম কিন্তু এখন তুমি যাবা না তাই আমিও যাব না? আচ্ছা ঠিক আছে তুই এখন আমাকে বাসায় দিয়ে আয়,,,।। কি আর করা আমি শাকচুন্নি কে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসলাম,,, সকাল 9:30 হঠাৎ করে আমার ফোনটা বেজে উঠলো,,, ফোনটা রিসিভ করে দেখি আমার এক বন্ধু ফোন দিয়েছে,,,, কিছুক্ষণ কথা বলে রেখে দিলাম,,, তারপর প্যান্ট শার্ট পরে রেডি হয়ে গেলাম কলেজে যাওয়ার জন্য?? আসলে বন্ধু ফোন দিয়েছিল স্যার নাকি আমাকে কি বলবে আমাকে জরুরী আজকে কলেজে যেতে হবে,,, তাই যত সম্ভব রেডি হয়ে বাইক নিয়ে রওনা দিলাম,, কলেজে পৌছাতে পৌছাতে 10:15৷ 10 টা থেকে প্রথম ক্লাস তার মানে 15 মিনিট লেট আমাদের আদনান স্যার একটু রাগও মানুষ প্রথম ক্লাস উনার 15 মিনিট দেরিতে যাওয়া মানে সারাটা ক্লাস কানে ধরে দাঁড়িয়ে থাকে,,,,, তাই মনে মনে ভাবলাম প্রথম ক্লাসটা করব না,,,, পরক্ষনে মনে পড়ল স্যার না আমাকে কি বলবে,,,, আমি আস্তে আস্তে আমাদের ডিপার্টমেন্টের রুমে গেলাম,,,, আমি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে স্যার কে উদ্দেশ্য করে বললাম,,, মে আই কামিং স্যার,,, স্যার আমার দিকে একটা রাগী লুক নিয়ে তাকালো,,,, আমি কিছুক্ষণ ধরে বাহিরে দাঁড়িয়ে আছি,,, হঠাৎ করে স্যার বলল ভিতরে আসো,,, আমি ভেতরে গিয়ে একটা টেবিলে বসলাম,, স্যার আসলো,,, স্যার আমাকে বলল এতো ক্লাস মিস করো কেন,, সামনে তো ফাইনাল এক্সাম আসতেছে তার কোন প্রস্তুতি আছে,,, জি স্যার আছে,,,, আর স্যার এক্সামের তো আরো অনেক দিন বাকি,,, স্যার আমার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে তারপর সবাইকে বোঝাতে লাগলেন? স্যারের ক্লাস টা শেষ করে আমরা সবাই ক্লাস রুম থেকে বাহির হলাম,,,, দেখি শামীম সাগর মিশাল সবাই একসাথে বসে আছে আমি তাড়াতাড়ি হারামি গুলোর কাছে গেলাম? ওমা কাছে গিয়ে দেখি শামিমের সাথে রিয়া ও আছে,, আমি ওদের কাছে গিয়ে বললাম আজকে আমাকে এভাবে জরুরি তলব দিয়ে কলেজে আনলি কেন? সবগুলো হারামি বলতে লাগলো তোকে জরুরি তলব দিয়ে আনছি দরকার আছে,,, ভার্সিটি ছুটির পর প্রফেসর স্যার আর তোর সাথে কথা বলবে,,,, স্যারের সাথে আমার কি কথা,,,, আর ভার্সিটি ছুটির পর মানে সবগুলা ক্লাস আজকে আমার করতে হবে,,,,, সবগুলো বন্ধু বলতে লাগলো সবগুলা ক্লাস করলে সমস্যা কি,,,, আরে তোরা বুঝতে পারছিস না,,, আমি ঈশিতা আপুকে বলছি আজকে কলেজে আসবো না,,, এখন তা যদি জানতে পারে কলেজে এসেছি তাহলে আমি শেষ,,,,, (বন্ধু) আরে কলেজে আসলে ইশিতা আপুর সমস্যা কি? আরে শালা তুই বুঝবি না মেয়ে মানুষ কোন জায়গার গিট্টু কোন জায়গায় নিয়ে লাগাই কেউই বলতে পারে না,,, আমি আসছি তোদের জরুরি তলব পেয়ে,,,, আর আপু যদি জানতে পারে আমি কলেজে এসেছি তাকে না জানিয়ে তাহলে সে কি মনে কি করবে জানিস,,, মনে করবে আমি তাকে না জানি কোন মেয়ে টানে কলেজ এসেছি??? বন্ধু শামীম বলল জানলেও কিছু হবে না আমরা আপুকে বুঝিয়ে বলব,,, আইচ্ছা এখন তোরা বল কি কারনে এত জরুরি তলব দিয়ে কলেজে আনলি? (বন্ধু)আসলে সরকারিভাবে দশটা কলেজ নিয়েএকটা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ছেড়েছে,,,,, আর এই খেলা থেকে যেকলেজ চ্যাম্পিয়ন হবে,,,সরকার তাদেরকে পুরস্কৃত করবে।।। এবং কলেজের মান উন্নয়ন সম্পর্কে দেখবে,,,,তাই আমাদের ভার্সিটি থেকে একটা দল অংশগ্রহণ করবে এজন্য স্যার তোকে ডেকেছে,,,, আরেকটা কাজ আছে,, (আমি) কি কাজ? (বন্ধু) তুই তো জানিস সাগর লিমাকে ভালবাসে,,, সাগর অনেকদিন যাবত লিমার পেছনে ঘুরতেছে,,, সাগর আজকে বলল,,, আমাকে যদি ওর সাথে কথা বলাতে পারিস তাহলে আমাদেরকে বড় ধরনের ট্রিট দিবে? আর এ কাজ তুই ছাড়া কেউই পারবে না। (আমি) কোনটাই আমার পক্ষে সম্ভব না,,, না ক্রিকেট খেলা না ওই বদ মেজাজী মাইয়ার সাথে সাগরের কথা বলি দেওয়া? আমি এখনই বাসায় চলে যাব?? শামীম বলল কি বলছিস তুই,, তুই সাগরকে রিমার সাথে কথা না বলে দিস,,, কিন্তু ক্রিকেট খেলতে হবে? আমাদের ভার্সিটির একটা মান সম্মান আছে,,, আর প্রফেসার স্যার যেহেতু তোকে ডেকেছে না খেলে পারবি না।।। দেখ শামীম তুই জানিস ঈশিতা আপু খেলা পছন্দ করে না,,, আমি কোনভাবেই খেলতে পারবো না,,,, এর আগে খেলতে গিয়ে তোকে থাপ্পর দিয়েছে মনে নাই? শামীম) আরে শালা ঈশিতা আপুকে এত ভয় পাওয়ার কি আছে? ঈশিতা আপুকে আমরা বুঝিয়ে বলব??? (আমি) তারপরেও সম্ভব না??? আমাদের কথার মাঝখানে হঠাৎ করে আমার বন্ধু সাগর এসে পড়বো,,, আমাকে দেখে এসে জড়িয়ে ধরেছে,,, শালা হারামী তুই এতদিন পরে কলেজে আসছিস??? (আমি) আজকেও তো কলেজে আসতাম না কিন্তু এই হারামি গুলো জরুরি তলব দিয়ে নিয়ে আসছে? (সাগর) দোস্ত একটা কাজ করে দেনা লিমার সাথে আমাকে কথা বলে দে না? (আমি) অসম্ভব ওই বদ মেজাজী মাইয়ার সাথে আমি তোকে কথা বলিয়ে দিতে পারবো না,,,,, তুই অন্য কোন মাইয়ার কথা বল তোর সামনে এনে হাজির করবো,,, সে যত বড় সুন্দরী হোক না কেন? (সাগর) না দোস্ত আমি শুধু লিমার সাথে কথা বলবো,,, তুই একটু কথা বলিয়ে দে না,,, তুই যা খেতে চাইবি তোকে খাওয়াবো? সবগুলো হারামি চেপে ধরেছে,,, লাস্ট পর্যন্ত আমি বাধ্য হয়ে বললাম,,, ঠিক আছে কথা বলিয়ে দিবো। কিন্তু আমাকে এখন 50 ডলার দিতে হবে? সবাই বলতে লাগল ডলার কোথায় থেকে পাবি,,, আমি বললাম ডলারের হিসাবে যত টাকা আসে তত টাকা দিবি? সাগর একটা 1000 টাকার নোট বের করে আমার হাতে দিলো,,,,, আমি টাকাটা পকেটে ঢুকিয়ে তাদের সাথে বসলাম? এখন তারা বল লিমা কোথায়,,, ওরা আমাকে বলল ওর ডিপার্টমেন্টের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে,,,, আমি তাকিয়ে দেখি একটা সাদা ড্রেস পরে আর মাথায় খয়রি ওড়না দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,,,,, ওর সাথে ওর দুই তিন বান্ধবী আছে,,,, আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি ওর বান্ধবীরা চলে যাবে তারপর ওর সাথে কথা বলবো,,,,,, বন্ধুরা বলল যাস না কেন,,, আমি বললাম না যাব না,,, বন্ধুরা বলল তা না হলে টাকা দে? টাকা একবার পকেটে ঢুকিয়ে দিয়েছি আর নিতে পারবি না? বন্ধুরা বলল কিভাবে তোর কাছ থেকে টাকা নিতে হয় আমাদের জানা আছে সাথে সাথে সব গুলো হারামি আমার সাথে জোরজবস্তি করতে শুরু করল,, দুজনে হাতে ধরেছে একজন কোমরে আর 2 জন পায়ে আর একজন পকেটে হাত ঢুকিয়ে দিল,,,, আমি কোন উপায় না পেয়ে লাস্ট পর্যন্ত ওদের কাছে হার মানতে হলো,,, আমি বললাম ঠিক আছে আমি যাচ্ছি? তার আগে দেখ ওর সাথে ওর বান্ধবীরা আছে নাকি? তাকিয়ে দেখি এখন ওর সাথে ওর বান্ধবীরা আছে,,,, আমি বললাম 2 মিনিট দাঁড়া ওর বান্ধবীরা যখন চলে যাব তখন আমি ওর কাছে গিয়ে কথা বলব?? পাঁচ মিনিট পরে ওর বান্ধবীরা চলে গেল,,, ও একা বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে,,,, আমি তাড়াতাড়ি সিড়ি দিয়ে উপরে উঠলাম যদি ওর বান্ধবীরা চলে আসে,,,, আসলে ওই মাইয়ার বান্ধবীরা আপুর সাথে চলে,,, যদি আড়ালে লিমার সাথে আমাকে কথা বলতে দেখে তাহলে হয়তো আপুকে বলে দিতে পারে??? তাই এই ভয়ে তাড়াতাড়ি সিড়ি দিয়ে উঠতে লাগলাম?? হঠাৎ করে কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে পরে গেলাম,,,, দুজনে গড়াগড়ি খেতে খেতে একবারে নিচে,,,,, আমার হাতে একটু ব্যাথা পেয়েছি অল্প অল্প রক্ত পড়ছে,,, আমি তাকিয়ে দেখি আপুদের ডিপার্টমেন্টের এক সিনিয়র বড় ভাই,,,, সে আমার কাছে এসে বলতে লাগলো? চোখে দেখিস না,,,, আমি বললাম আপনি দেখেন না,,,, সে সাথে সাথে আমাকে একটা থাপ্পড় মারল,,,,, আমার রাগ উঠে গিয়েছিল কিন্তু রাগটা আমি কোনমতে কন্ট্রোল করলাম,,,, সে আমাকে আরেক গালে আরেকটা থাপ্পড় দিতে যাবে,,,, আমার সব বন্ধুরা সে ধরে ফেলল?? সবাই বলতে লাগল আপনি ওকে থাপ্পড় দিয়েছেন কেন,,,, সিনিয়র ভাই বলতে লাগলো ছাগলের বাচ্চা চোখে দেখতে পানা??? এ কথা শোনার পরে আমি রেগে গেলাম সাথে আমার বন্ধুরাও ক্ষেপে গেল,,,,,, হঠাৎ করে সিনিয়র ভাইয়ের ডিপার্টমেন্টের আরো দুইজন বড় ভাই আসলো,,,, পরিস্থিতি খুব খারাপ অবস্থায়,,,,, আমাকে কেউই আটকে রাখতে পারছে না,,,, ও আমাকে থাপ্পর দিয়েছে ভালো কথা কিন্তু ও আমাকে ছাগলের বাচ্চা বলে গালি দিলে কেন??? হঠাৎ করে পিছন থেকে কেউ যেন আমাকে জোরে একা টান দিল,,,, আমি পিছনে ফিরে ব্যাকা চ্যাকা খেয়ে গেলাম,,,, ঈশিতা আপু এখানে কিভাবে,,, তাকে দেখে আমার রাগ ক্রমে সে নিভে গেল,,,, ঈশিতা আপু বলতে লাগলো কি হয়েছে এখানে,,,,, আর তুই আমার কাছে না বলে কলেজে আসলি কেন,,,, আমি কোন কিছু বলছি না,,,, হঠাৎ করে আমার গালে হাত দিয়ে বলল,,,, তোর গালে আঙ্গুলের দাগ কেন,,, আমি মাথা নিচের দিকে দিয়ে রাখছি,,,, আপু আমার মাথাটা উপরে তুললো কি হলো কথা বলিস না কেন,,,, আমি সবাই দিকে তাকিয়ে দেখি সবাই দাঁড়িয়ে আছে এবং সিনিয়র ভাই গুলো আছে,,,, (আমি) কিছু হয় নাই? (আপু) কিছু না হলে তোর গালে দাগ কোথা থেকে আসলো? আমি চুপ করে আছি,,,, আপুর রাগে খুলতে ফুলতে লাগল,,,, তার চেহারা পুরোদমে রাগে লাল হয়ে গিয়েছে,,, আপু শামীমের কলার ধরে জিজ্ঞাসা করল কি হয়েছে,,, শামীম ভয়ে আপুকে সব কিছু বলল,,,, তারপর আপু আমাকে টেনে ওই বড় ভাইয়ের কাছে নিয়ে গেল,,, বড় ভাইয়ের কাছে গিয়ে বলল তুই ওকে থাপ্পর দিয়েছিস কেন,,,,,, বড় ভাই বলতে লাগলো ও আমাকে ইচ্ছে করে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে,,,, আপু বলতে লাগলো তুই বললেই আমি বিশ্বাস করব,,, ফারাবী তোকে ধাক্কা দিয়েছে,,,,, থাপ্পর দিয়েছিস আবার গালি দিয়েছিস কেন,,,, বড় ভাই বলতে লাগলো থাপ্পর দিয়েছে ভালো করেছি কি করবেন কি করব,,,, আপু পুরোদমে রেগে গেল,,, তারপর আপু সেই বড় ভাইয়ের গালে ঠাস ঠাস দুইটা থাপ্পড় দিল,,, বড় ভাই গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,,,, আপু রাগে বলতে লাগলো,,,, তুই চিনিস আমাকে তোর এমন অবস্থা করব না আজীবন জেলে পচে মরতে হবে।।। তোর তো সাহস কম না তুই ওক থাপ্পর দিয়েছিস আবার গালিও দিয়েছিস,,,, আবার আমার সামনে বলতিস দিয়েছিস ভাল করেছিস।।। আমি ইচ্ছে করলে আগামী 10 মিনিটের মধ্যে তোকে জেলে ঢুকাতে পারি,,,, আমার ক্ষমতা সম্পর্কে তুই জানিস না,,,, আর যদি কখনো তোকে দেখি তুই ওর দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে আসিস,,,, তাহলে এই কলেজ থেকে তোকে বের করার ব্যবস্থা করবো,,,, দিস ইস লাস্ট এন্ড ফাস্ট ওয়ার্নিং কথাটা যেন মনে থাকে,,,, আপু বড় ভাইকে যে জারি দিয়েছে আগামী 10 মিনিটের মধ্যে তোকে জেলে ঢুকাতে পারি,,, আসলে আপু ইচ্ছা করলে পারবে আপুর বাবা সেনাবাহিনীর উচ্চ পদে চাকরি করে,,,, আপু দুই চাচা একজন র‍্যাবে চাকরি করে আরেকজন ম্যাজিস্ট্রেট? আপু ওখান থেকে আমাকে টেনে একটু দূরে আনল,,,, তারপর আমার গালে ঠাস ঠাস করে দুটো থাপ্পর দিল,,, আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম,,,, সবাই তাকিয়ে আছে,,,, আমি বললাম আমাকে এভাবে থাপ্পর দিলে কেন,,, (আপু) আমার মন চেয়েছে দিয়েছি? (আমি) তাহলে ওই ভাই আমাকে থাপ্পড় দিয়েছে শুনে ক্ষেপে গেলে কেন। (আপু) আমাকে ছাড়া তোর দিকে কেউ চোখ তুলে তাকাবে আমি তার চোখ তুলে ফেলবো,,, তোকে টাচ করা তো পরের কথা,,,,। তুই আমাকে না জানিয়ে কলেজে আসলি কেন,,,, শামীম আমাকে জরুরী ফোন দিয়ে নিয়ে এসেছে প্রফেসর স্যার নাকি আমার সাথে কি বলবে?? আপু শামিমকে ডাকতে লাগল,,, শামীম ভয়ে কাচুমাচু করে আপুর সামনে আসতে লাগল সাথে রিয়াও আসতে লাগলো? আপু শামীম কে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগল তুই ওকে ফোন করে ডেকে আনলি কেন? আপু রাগে কটর মটর করতে লাগলো,,,, আপুর এই রাগ দেখে আমার সব বন্ধুরা ভয় পেয়ে গেল,,, আর শালা বলে আপুকে নাকি বুঝিয়ে বলবে আমার খেলার জন্য? শামীম আমতা আমতা বলতে লাগলো,,,,আসলে প্রফেস্যার স্যার বলেছে ওকে ফোন দিয়ে আনার জন্য।।। (আপু) কি জন্য? (শামিম)জানিনা? আমি মনে মনে শামীম কে গালি দিচ্ছি,,, শালা এখন বুঝিয়ে বল খেলার কথা,,,, এখন তো ভয়ে কথা বলতে পারিস না? আপু আমাকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগল তুই কলেজে আসবি আমাকে তো একবার ফোন দিবি?? আসলে শামীম এত জরুরি তলব করল যে তোমাকে ফোন দিতে মনে নাই,,,,, তুমি এখানে আসলে কিভাবে। আগে তোর মোবাইলটা বের কর। আমি পকেট এ্ হাত দিয়ে মোবাইলটা বের করলাম। স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে দেখি 42 টা ফোন আর সবগুলো ঈশিতা আপুর,,,, আপু আমার হাত থেকে মোবাইলটা নিয়ে নিল,,, তার পর তার ব্যাগের ভিতর ঢুকিয়ে ফেলল। মোবাইল ব্যাগ এর ভিতরে ঢুকালে কেন। তোর মোবাইল ইউজ করার দরকার নেই।।। আমি বুঝতে পেরেছি আপু ফোন দিয়েছে আমি ধরি নাই সেইজন্য,,, আসলে তুমি এতগুলো ফোন দিয়েছো মোবাইল পকেট এ ভাইব্রেশন লাগানোর ছিল তাই তোমার ফোন ধরতে পারিনি। (আপুু) আর ধরতে হবে না মোবাইল ইউজ করা লাগবে না,,,, আমি তোকে একটা দুইটা পঞ্চাশটার অধিক ফোন দিয়েছি,,,, একটা ফোন যদি ধরতি বুঝতাম আমি কত টেনশনে ছিলাম জানিস,,,, খালামণি কে ফোন দিয়ে যখন তোর কথা জিজ্ঞাসা করলাম,,,, খালামণি যখন বলল তুই কলেজে,,, তখন রাগে তোকে যদি আমি ওই সময় পাইতাম তাহলে তোকে কি করতাম তুই ভাবতেও পারতি না? (আমি) আচ্ছা ঠিক আছে আমার ভুল হইছে তোমাকে ফোন দেওয়ার দরকার ছিল,,, সরি এবারের মত মাফ করে দাও। কিসের মাফ এত সহজে তোকে মাফ করবো না? তাহলে কি করলে মাফ করবে? যা বলবো তাই করবি তো? হ্যা করবো? তাহলে ঐ ছেলেটাকে দেখছিস,,ওকে গিয়ে একটা থাপ্পর দিবি? আরে কি বলতেছো ও তো আমার বন্ধু সাগর”” তোর বন্ধু হোক আর যেই হোক তুই গিয়ে ওকে একটা থাপ্পড় দিবি,,, আমি আপুর কথা মত আমার বন্ধু সাগরের কাছে যেতে লাগলাম,,,, থাপ্পর দিলে ও নিশ্চয়ই কিছু বলবে না,,, যদি জানতে পারে আপু বলেছে থাপ্পর দেওয়ার জন্য,, তাহলে মাইন্ড করতে পারে,, আমি সাগরের কাছে গিয়ে থাপ্পর দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি এমন সময় পিছন থেকে কে যেন আমার হাত টেনে ধরেছে।। আমিতো মনে করেছি আপু,,, কিন্তু পিছনে ফিরে তো দেখি আমার ক্লাসমেট ফারিয়া,,,, ফারিয়া মনে মনে আমাকে পছন্দ করে,,, এটা আমি জানি,,, কিন্তু আমার হাত ধরেছে কেন,,, আমি আপুর দিকে তাকিয়ে দেখি আপু তেলে বেগে আগুন হয়ে আমাদের দিকে আসছে””””” আমি ভয়ে হাতটা সরিয়ে ভদ্র ছেলের মত দাঁড়িয়ে রইলাম????

নতুন ভিডিও গল্প!

(((((চলবে)))))


Tags: , , , , , , , , ,

Comments are closed here.